নেইমারের পেনাল্টি গোলে আশা বাঁচিয়ে রাখল পিএসজি
নিজেদের ঘরের মাঠে মুখোমুখি প্রথম সাক্ষাতের ম্যাচে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ২-১ গোলে হারিয়েছিল জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগ। দ্বিতীয় লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়েও স্বাগতিকদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে জার্মান ক্লাবটি। কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা।
লাইপজিগের মাঠ থেকে হেরে ফিরলেও, নিজেদের ঘরে প্রতিশোধ নিয়েছে পিএসজি। দলের ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রের করা পেনাল্টি গোলে ১-০ ব্যবধানেই জিতেছে থমাস টুখেলের শিষ্যরা। এতে করে নকআউট খেলার আশাও বাঁচিয়ে রেখেছে পিএসজি।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গত আসরের রানার্সআপরা এবারের আসরে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ জিতেছিল একটি মাত্র ম্যাচ। মঙ্গলবার রাতে লাইপজিগের বিপক্ষে ম্যাচটি হারলে কার্যত তাদের নকআউট খেলার আশাই শেষ হয়ে যেত। যা হয়নি কষ্টার্জিত জয়ে।
পিএসজির ঘরের মাঠে খেলা হলেও, পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল লাইপজিগের। ম্যাচের ৬২ ভাগ সময় বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে লাইপজিগ। পিএসজির ৮ বারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ (১৫ বার) আক্রমণ সাজিয়েছে তারা। কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। যে কারণে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
এক্ষেত্রে খানিক সৌভাগ্যই বলতে হবে পিএসজির। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের মধ্যে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে ফাউল করে পিএসজিকে যেন গোলের সুবর্ণ সুযোগ করে দেন লাইপজিগ মিডফিল্ডার মার্সেল সাবিজার।
ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা না নিয়ে সরাসরিই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার। পরে এটিই হয়ে থাকে ম্যাচের ফল নির্ধারণী গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগে পাঁচ ম্যাচ পর গোলের দেখা পান নেইমার।
এ জয়ের পর এইচ গ্রুপে চার ম্যাচে ২ জয়ে পাওয়া ৬ পয়েন্টে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছে পিএসজি। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তিন নম্বরে লাইপজিগ। শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সংগ্রহ ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন