নেত্রকোণার মদনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

নেত্রকোনার মদন উপজেলার শিবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাশেদুল হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোটা বাতিলের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মুসিউর রহমান খান শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের বরাদ্দ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত ও শিক্ষকদের সাথে অসাদাচরণের বিষয়টি অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পাশেই সহকারি শিক্ষক রাশেদুল হাসানের বাড়ি। নিজ বাড়ির পাশের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করায় প্রভাব কাটিয়ে তার ভাইকে বিদ্যালয়ের সভাপতি বানিয়ে নানা অনিয়ম দূর্নীতি করে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক রাশেদুল হাসানের বিরুদ্ধে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিন পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা আইনাল হক, রুসতম আলীসহ অনেকেই জানান, ৮ বছর আগে আমাদের ছেলে মেয়েদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করার পায়তারা করেন প্রধান শিক্ষক। আমরা কয়েকজন মিলে অভিযোগ দিলে গ্রামবাসী বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।

পরে শিক্ষার্থী অভিভাকদের চাপে কয়েকদিন পর উপবৃত্তির টাকা প্রধান শিক্ষক ফেরৎ দেন। কিন্তু সেই সময়ে অভিযুক্তদেও বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দীর্ঘ ৮ বছর পর এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের কোন অভিযোগ নেই বলে জানান তারা।

শিক্ষক রাশেদুল হাসান জানান, ‘২০১৬ সালে উপবৃত্তি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে অভিভাবকদের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। তখনকার সময়ে গ্রামবাসী প্রধান শিক্ষকের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করেন। এই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। পারিবারিক দ্বন্দ থাকায় আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছে।’

সাবেক প্রধান শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) এমদাদ মিয়া জনান, ‘ ২০১৬ সালে উপবৃত্তির টাকা নিয়ে যে অভিযোগ হয়েছিল তার সমাধান করা হয়েছে। প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রী তাদের উপবৃত্তির টাকা পেয়েছে। বিষয়টি আমাদের কর্তৃপক্ষকে তখনেই অবগত করা হয়েছিল।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান,‘ ২০১৬ সালের ঘটনায় এখন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’