নেত্রকোনায় সংঘর্ষের ১০ দিনেও নিখোঁজ ইয়াসিন জীবিত অথবা মৃত ফেরতের দাবীতে মানববন্ধ

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর রসূলপুর ফেরিঘাটে সংঘর্ষের ১০ দিন পরেও সন্ধান মেলেনি ইয়াসিন নামের এক ছাত্রদল কর্মীর। তাকে জীবিত অথবা মৃত ফেরত পেতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার নেত্রকোনা-মদন সড়কের উপজেলার বটতলা বাজারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিখোঁজ ইয়াসিন মিয়ার মা সুলতানা আক্তার, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, আলী উসমান, আলী আকবর,মানিক মিয়া, রতন জিহাদী, আব্দুল সালাম,পুতুল মিয়া প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ইয়াসিন কাইটাইল ইউনিয়নের ছাত্রদলের কর্মী। সে অটো রিকশা চালিয়ে পরিবার চালাত। গত শনিবার (৮ মার্চ) খালিয়াজুরী রসূলপুর ঘাটে যাত্রী নিয়ে গিয়েছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও মাছ শিকারিদের সংঘর্ষ হলে নিখোঁজ হয় ইয়াসিন। নিখোঁজের ১০ দিনেও তার সন্ধান না পাওয়া যাচ্ছে না।’

বক্তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘ইয়াসিনকে খোঁজতে পুলিশ অথবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না। কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও সহযোগিতা করছেন না। এমনকি একটি চক্র মানববন্ধন করতেও বাঁধা প্রদান করেন।’

উল্লেখ্য, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মাছ শিকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালিয়াজুরির বিভিন্ন জলমহালে পলো দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন। গত শনিবার সকালে সহস্রাধিক মাছশিকারি পলো নিয়ে একটি জলমহালের মাছ শিকার করতে যান।

মাছশিকারিরা ধনু নদের রসুলপুর ঘাটে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ রেখে নদ পার হতে ফেরি নৌকায় যেতে চাইলে রসুলপুর গ্রামের লোকজন তাঁদের বাধা দেন। এর জেরে মাছশিকারিদের সঙ্গে রসুলপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন।

এ ছাড়া যানবাহন ভাঙচুরসহ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৪ ব্যাক্তি নিখোঁজ হয়। সংঘর্ষের ৩ দিন পর ধনু নদ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনার মর্গে পাঠায় লিপসার পুলিশ ফাঁড়ির নৌ পুলিশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ইয়াসিনের কোন সন্ধান মেলেনি।