নেত্রকোনার আটপাড়ায় সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে দুই সন্তানের জননীর

নেত্রকােনার আটপাড়ায় সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে ৫ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশনে দুই সন্তানের জননী মিতু আক্তার। উপজেলার সুখারী ইউনিয়নে দেওশ্রী গ্রামে মৃত মগল মিযার ছেলে কায়েস মিয়ার বাড়িতে এ অনশনে বসে মিতু। মিতু ও কায়েস একই গ্রামের বাসিন্দা।

এর আগে অনশনে বসা মিতু আক্তার প্রথম স্বামী মিজানুর রহমান ও দুই সন্তান রেখে কায়েস মিয়ার বাড়িতে যায়। কায়েস স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় ১০ দিন অনশনে বসার পর তার বড় ভাই সানোয়ার ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকায় মিতু চলে গেলে কায়েস তার সাথে যোগাযোগ করে ঢাকায় যায়।

সেখানে দুজন বাসা ভাড়া করে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে এবং ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় দেন মুহরে মিতুকে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে কায়েস বিয়ে করে। বর্তমানে মিতু তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা রয়েছে। মিতু অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে গোপনে বাড়িতে চলে আসে কায়েস। মিতু কায়েসকে খোঁজাখুজি করে কায়েসের বাড়িতে আসলে কায়েস বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এমন কি কায়েসের বসত ঘর তালা ঝুলিয়ে পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র চলে যায়। মিতু বর্তমানে বাড়ির সামনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে।
এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে শনিবার দেওশ্রী গ্রামের বাড়িতে গেলে স্বামী কায়েসকে পাওয়া যায়নি। তার বসত ঘরটি তালা ঝুলিয়ে কায়েসের মা অন্যত্র চলে গেছে।

মিতু আক্তার জানায়, কায়েসের বাড়ি একই গ্রামে থাকায় আমার বিয়ের আগেই তার সাথে পরিচয় ছিল। আমার বিয়ে হওয়ার পর থেকেই সে আমার বাসায় আসা যাওয়া করত। এক পর্যায়ে আমার স্বামী মিজানুর সন্দেহ হয় এবং বাসা থেকে আমাকে বের করে দেয়।

নিরুপায় হয়ে দুই সন্তান রেখে বিয়ের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে কায়েসের বাড়িতে গত ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে ১০ দিন অনশন করে তাদের মন না গলায় আমার ভাই সানোয়ার আমাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে কায়েস আমার সাথে যোগাযোগ করে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করি এবং রেজিঃ মূলে আমাকে বিয়ে করে।

বর্তমানে আমি তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা। আমি আমার সন্তানের স্বীকৃতি এবং স্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কায়েসের বাড়িতে আসলে তারা সবাই চলে যায়। এখন খেয়ে না খেয়ে তাদের পরিত্যক্ত একটি বসত ঘরে বসবাস করছি। যতদিন পযর্ন্ত আমার সন্তান এবং আমার স্বীকৃতি না পাইত ততদিন আমি কোথায় যাব না।

আটপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ নূর আলম জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনই ব্যবস্থা নেয়া হবে।