নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় মামলা, শিক্ষক-সাংবাদিকসহ আসামী ৫৭

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় একটি মামলা হয়েছে, মামলায় শিক্ষক-সাংবাদিকসহ ৫৭ জনকে আসামী হয়েছে।

বিগত ২২ জুন দুপুর দেড়টার দিকে কলমাকান্দা বাজারের মোহাল ইজারা ডাকাকে কেন্দ্র করে সহিংস মারামরিতে জড়িয়ে পড়ে উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বাবুল ও প্রতিদ্ধন্দী মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন এর সমর্থকগণ। মারামারিতে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হযেছেন। এদের মধ্যে মারাত্মক আহত অবস্থায় মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাই মো: আবু সাইদ বাদী হয়ে ৫৭ জনকে আসামী করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দাযের করেছেন। মামলা নং-২৭ তারিখ ২৩/০৬/২০২৪। মামলায় ১জন সাংবাদিক ও ৩ জন শিক্ষককে আসামী করা হয়েছে। শিক্ষককগণ হলেন অরুন চন্দ্র সরকার বাবন, নিক্সন সরকার ও সাহান শাহ। এছাড়াও ৪ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রয়েছেন এ নিয়ে এলাকায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি তারা ঘটনার আশেপাশে ছিলেননা তবু তাদের আসামী করা হয়েছে।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফুল হক জানান বাদীর এজাহারের ভিত্তি মামলা গ্রহন করা হয়েছে প্রকৃত আসামীর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দছ বলেন, যারা মামারির সাথে জড়িত ছিলেন তাদেরকেই আসামী করা হযেছে।

মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন বলেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তার উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে।তিনি বলেন সাম্প্রতিক উপজেলা নির্বাচনে যারা তাকে সমর্থন করেছেন তাদের অধিকাংশকে আসামী করে মামলা দেয়া হয়েছে।মামলায় কযেকজন শিক্ষক, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে আসামী করা হয়েছে যারা ঘটনার আশেপাশে ছিলেন না বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ঔষধ ব্যবাসায়ী উত্তম তালুকদার জানান, তার দোকানের সামনে মিটিং হয়েছিল পরবর্তিতে যা মামারিতে রূপ নেয়। তিনি জানান, যে শিক্ষকদের এই মামলার আসামী করা হয়েছে বলে শুনেছেন তাদের তিনি মিটিং এর আাশে পাশে দেখেননি।

প্রকৃত ঘটনার সাথে জড়িতদের আসামী করা ও নিরপরাধ মানুষদের হয়রানি না করার দাবি জানান সচেতন মহল ।