নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ২৮ শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। টানা তিন ২৮ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। চিকিৎসকরা জানান, ঋতু পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এ হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, বিল্লাল, রাকিকুল, ইয়ামিন, মোকসিনা, মায়শা, কাইয়ুম জাহিদুল, আদ্রিকা, মোহাম্মাদ, আদরিকা, রিফাত, রুদ্র সাহা, সাকিয়া, লামিয়া, আরিয়ান, আদি সরকার,শামীমা, আফিফুল, তুহিন, জোবায়েদ আহাম্মেদ, ইসরাত, আব্দুল্লাহ্, মামুনুল হক, ইয়ামিন, কনক চাকমা, লামিয়া, শারমিন, রেদুয়া, জারিফ, আব বক্কর, সোহান রেজা, হাসান, কোহিনুর, সিফাতউল্লাহ্ সহ ২৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে মামুনুল, লামিয়া, রিফাত, লামিয়া, রাকিবুল, বিল্লাল, জাহিদুল, শামীমা, আফিকুল সহ ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ৫ মাস বয়সী মোকসিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেছেন।

বুধবার বিকালে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১৯ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সময় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ১৪ মাস বয়সী সিফাতউল্লাহ এর বাবা নুর জামান বলেন, গত দুইদিন ধরে আমার ছেলে বমিসহ পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। ডায়রিয়া না কমায় বুধবার দুপুর আড়াই টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তির পরামর্শ দেন। আমার ছেলেকে ভর্তি করেছি।

জরুরী বিভাগে কর্মরত উপ- সহাকারি মেডিকেল অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি প্রতিদিন গড়ে ডায়রিয়া ৮/১০ জন রোগী আসেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশী।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ আল মামুন বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। ভর্তি হওয়া রােগীদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশুই আক্রান্ত রােগীদর সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হচ্ছে। তাছাড়া অনেকেই সুস্থ হয় বাড়ি ফিরে গেছেন।