নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা,বাস ও চালক গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক তরুণী(২১) কে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭ জুন শুক্রবার দিবাগত রাতে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই তরুনী।

শনিবার (৮জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বাসচালক খাইরুল ইসলাম (৩০) ও অটোরিকশা চালক মো. কবির মিয়া (৩৫)। খাইরুল ইসলামের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার আতকাপাড়া গ্রামে। সে ঢাকা-দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার লেংগুড়া সড়কে মামনি পরিবহনের ৭ নম্বর বাস এর চালক।

অন্যদিকে অটোরিকশা চালক কবির মিয়া উপজেলার বালিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তর বাড্ডা থেকে নিজ বাড়ি কলমাকান্দায় আসার উদ্দেশে মামনি পরিবহনের বাসে ওঠেন তরুণী (২১)। রাত তিনটার দিকে দুর্গাপুর পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে তাঁকে নামিয়ে দেন বাসচালকের হেলপার। এ সময় বাস থেকে নেমে যান বাসটির চালক খাইরুল ইসলাম।

সেখান থেকে খালুর বাড়ি পশ্চিম নাজিরপুর যাওয়ার জন্য অটো খুঁজতে থাকেন ওই তরুণী। ওই সময় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন বাসচালক খাইরুল। তাঁর সঙ্গে পূর্ব পরিচিত থাকায় একটি অটোরিকশাতে ওঠে ওই তরুণী।পথে অটোরিকশা থামিয়ে অটো চালকের সহযোগিতায় তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে খাইরুল।

পরে তরুনীকে তাঁর খালুর বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে ওই তরুনীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন,ব্যাগ নিয়েই পালিয়ে যায় তাঁরা।

স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর থানায় বিষয়টি জানালে ওই দিন বিকেলেই অভিযুক্ত বাসচালক খাইরুল ইসলাম ও রাতে অটোরিকশা চালক কবিরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল তরুণী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত বাস চালকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ভিকটিমের বর্ণনা অনুযায়ী অটো চালককে সনাক্ত করে অটোরিকশা এবং অটো চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যে থানায় একটি ধর্ষণ মামলার হয়েছে, বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে।