নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফসলি জমি ধংস করে বালু বিক্রির হিড়িক

গ্রামীণ সড়কে ঢুকতেই মাটি ভর্তি-খালি ট্রাক্টরের বেশ আনাগোনা। কখনো চোখে পড়ে বালুভর্তি ট্রাক। সেসব ট্রাকই সন্ধান দেয় কোথা থেকে আনা হচ্ছে মাটি আর বালু। এ ঘটনায় বুধবার (২৯ মে) বিকালে এ অভিযানে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু এবং পে-লোডার দিয়ে বিশাল গর্ত করে দিনে-রাতে তুলা হচ্ছে বালু। সেইগুলো ড্রাম্প ট্রাক ও সড়কে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর লরিতে ভর্তিকরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমির পাশাপাশি গ্রামীণ এবং পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি কান্দা এলাকায় ফসলি জমি থেকে বালু তুলে দেদারছে বিক্রি করছিল একটি মহল। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তাঁরা। পরে দুইটি ট্রাক্টর জব্দ করেন ম্যাজিস্ট্রেট। তাছাড়াও প্রায় ১০/১২টির মতো ট্রাক্টরের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়,যাতে ঐ ট্রাক্টরগুলি আর অন্যত্র সরেযেতে না পারে।

জানা যায়,আইনী জটিলতায় গত ১৪ এপ্রিল থেকেই পাঁচটি বালু মহাল বন্ধ রয়েছে। এই বালু মহাল ঘিরে হাজার কোটি টাকার বানিজ্য চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। তবে হঠাৎ বালু মহাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন লোকজন। গত কয়েকদিন ধরেই অধিক মূল্যে পাওয়ার আশায় কৃষি জমি ধংস করে ভেকু দিয়ে গভীর গর্ত করে বালু তুলা হচ্ছে।

এ যেন বালু বিক্রির হিড়িক লেগেছে। এতে যেমন ফসল জমি নষ্ট হচ্ছে,তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে গ্রামীন রাস্তাঘাট। এর আগেও গত ২৫ মে শনিবার শিমুলতলী এলাকায় ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান,অভিযানে আমরা মালিক পক্ষ কাউকে পায়নি। দুইটি ট্রাক্টর জব্দ করেছি। মালিক পক্ষের খোঁজ নিয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করা অবৈধ। যেকোন স্থানে ফসলি জমি থেকে বালু তুলার খবর পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।