নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক যুবতী (১৯)কে আবাসিক হোটেলের কক্ষে জোর করে আটকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ওই যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বিরিশিরি রিসোর্ট নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ ওই যুবদল নেতাকে আটক করে। আটক হওয়া ওই নেতার নাম ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়(২৪)। সে দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহŸায়ক বলে জানাগেছে।

পুলিশ ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা শহরের বাসিন্দা ওই যুবতী (১৯)। তাঁর সঙ্গে কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা অপর যুবক (২৭) এর সঙ্গে বিয়ে পাকাপাকি হয়। তাঁরা গত সোমবার দুর্গাপুরে ঘুরতে আসেন। সন্ধ্যায় বিরিশিরি এলাকার বিরিশিরি রিসোর্ট নামের একটি আবাসিক হোটেলে উঠে।

সেখানেই রাত্রিযাপন করে তারা। ২৯ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই হোটেল থেকে বের হয়ে বাহিরে যান যুবক(২৭)। তাঁর হবু স্ত্রী ওই হোটেলে অবস্থান করছিলো। এ-সময় দুর্জয় ওই হোটেলের কক্ষে ডুকে ওই যুবতীকে জোর করে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় খবরপেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধারসহ ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমদকে আটক করে। ধর্ষণের শিকার ওই যুবতীর হবু স্বামী ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমেদের বন্ধু বলেও জানা গেছে।

এদিকে এ ঘটনার পর রাতে নেত্রকোণা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সারোয়ার আলম এলিন ও সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহাবুব চৌধুরীর সিদ্ধান্তে সহ-সভাপতি শামছুল হুদা শামীম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আটক হওয়া ওই ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।

রাত দশটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে অভিযুক্ত দুর্জয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি আমলে নিয়ে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

তিনি আরো বলেন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুর্জয়কে আগামীকাল বুধবার সকালে আদালতে সোর্পদ করা হবে। এছাড়াও আর ওই মেয়ের হবু স্বামী ও হোটেল ম্যানেজার তাদেরকেও আদালতে পাঠানো হবে। আর মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।