নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিএনপি’র দু-গ্রুপে দ্বন্দ্ধ হামলায় অপর পক্ষের ১ কর্মী নিহত, আহত ৭

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় অন্য পক্ষের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ছয়-সাতজন কর্মী। বসতবাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। (২২ মে) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ৫নং বাকলজোড়া ইউনিয়নের আব্বাসনগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম(৪২)। তিনি আব্বাসনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং কাঠের মিলে কাজ করতেন। অপরদিকে আহতরা হলো-আলমগীর হোসেন,সৌরভ,শাকিল,লালচান মিয়া,কালা চানসহ অনেকেই।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান রাশেদ আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুর্গাপুর পৌরসদরে শুভেচ্ছা পোস্টার ও ছোট ছোট বিলবোর্ড লাগানো শুরু করেছেন।
তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাতে যান, এক পর্যায়ে পুলিশমোড় নামীয় স্থানে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে অপর পক্ষের লোকজন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন মাস্টার এতে বাধা দিলে এখানে দু-পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে তাঁর নেতৃত্বে রাত সাড়ে আটটার দিকে একদল লোক আব্বাসনগর গ্রামে গিয়ে হামিদুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় হামিদুর রহমানের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম নিহত হয়। এ সময় আরও ৬/৭ জন আহত হয়।
নিহত ব্যক্তির স্বজনদের অভিযোগ, জামাল উদ্দিন মাস্টারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে তাঁরা গুলি ছোড়েন। শফিকুল গুলিবিদ্ধ ও মারধরে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন ও হামলায় জড়িত যাদের তথ্য পাওয়াগেছে ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন