নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাজার কাঁপাতে প্রস্তুত ৩৪ মন ওজনের গরু শান্তলাল

কান্ত মেজাজ আর গায়ের লাল রঙের জন্য মালিক আদর করে নাম রেখেছেন ‘শান্তলাল’। ব্রাহমা জাতের গরুটি ওজন প্রায় ৩৪ মণ, উচ্চতায় ৬ ফুট। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে তুলতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে। কখনও কখনও বাহিরে বের করা হলে ভীড় জমে উৎসুক জনতার।
এই গরুটির মালিক দুর্গাপুর পৌর শহরের চকলেংগুরা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. সালাউদ্দিন সালাউদ্দিন জানান, চার বছর আগে শখ করে এই গরুটি কিনে আনেন। প্রথমে তিনি কর্মস্থলে থাকায় শুরু থেকেই লালন-পালন করছেন পাশ্ববর্তী সাধুপাড়া এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেন।
গরু কেনার দুই বছর পরেই অবসরে আসেন সালাউদ্দিন এরপর তিনিও প্রতিনিয়ত যতœ নেন গরুটির। কোনো ধরনের মোটাতাজা করণের ওষুধ ছাড়াই সাধারণ নিয়মেই বেড়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, গরুটির বিশাল দেহের হলেও তাকে সামলাতে কোনরকম কষ্ট পোহাতে হয় না। কারণ লালনপালন কারী ও তার কথা মান্য করে এই গরু। বর্তমানে প্রতিদিনই শান্তলালের পেছনে হাজার হাজার টাকা খরচ।
সালাউদ্দিনের দাবি, এটি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। বিক্রি করতে দাম চাওয়া হবে ১০ লাখ টাকা।
শান্তলাল নামের গরুটির লালন পালনকারী আকরাম হোসেন বলেন, প্রতিদিন প্রাকৃতিক খাবারে রয়েছে ঘাস,ভুসি ও শাক-সবজি তবে শান্তলালের পছন্দের খাবার কলা। কখনও যতেœ কোনো কমতি রাখা হয়নি। শান্তলালের সাথে তার সম্পর্ক যেন বন্ধুত্বের।
এদিকে এ পর্যন্ত এমন বড় গরু আর কোথাও দেখেননি স্থানীয়রা। এই গরু সবচেয়ে বড়। এই গরু শান্তশিষ্ট আচরণ দেখে ভালো লাগে তাদেরও। অপরদিকে ঘর থেকে বের করা হলেই চোখ দিয়ে পানি পড়ে শান্ত লাল নামের এই গরুটির। পশু ও মানুষের বন্ধুত্ব তারই বিরল একটি দৃষ্টান্ত শান্তলাল।
এ নিয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমিত দত্ত প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে এই উপজেলার সব চেয়ে বড় গরু এটি। গরুটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এজন্য এর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কোনোরকম ক্ষতিকর না।
তিনি আরও বলেন, এই গরু পালনের ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন আমরাও ওনাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। এবার কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য তৈরি করা হচ্ছে গরুটি আশা রাখছি স্থানীয় বাজারে সাড়া ফেলবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন