নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভূক্তভোগিদের ন্যায় বিচারের দাবী

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ন্যায় বিচার দাবীকরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. রেজাউল করিম ও তার পরিবার। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত অভিযোগে মো. রেজাউল করিম বলেন, দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. দীপা সরকার ৩২৬ ধারার অপব্যবহার করে, ডান হাতের আঙ্গুলে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে বলে এক ম্যাডিক্যাল সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের আব্দুল খালেক’কে। মুলত এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে জানান স্থানীয়রা।

বিগত কয়েক মাস পুর্বে আব্দুল খালেক এর আত্মীয় আব্দুল বাতেন গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক সংঘর্ষ হয়। ঐ সংঘর্ষে আব্দুল খালেক তেমন কোন আহতই হননি অথচ দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নামমাত্র ড্রেসিং করিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গ্রিভিয়াস সনদ গ্রহন করেন। পরবর্তিতে ঐ সনদ এবং মিথ্যা সাক্ষি দিয়ে রেজাউল করিমের পিতা আবুল খায়ের গংদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করলে আবুল খায়ের এখন পর্যন্ত কারাভোগ করে আসছে।

অপরদিকে জাহিদুল ইসলাস নামের এক রোগীর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জখমি সনদে উল্লেখ আছে বোথা অস্্রদিয়ে আঘাত করা হয়েছে,অথচ ঐ রোগিকে দুর্গাপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে জখমি সনদ দিয়েছেন দাড়ালো অ¯্রদিয়ে আঘাত করা হয়েছে, এখানেই প্রমান হয় যে, টাকার বিনিময়ে মিথ্যা জখমি সদন প্রদান করেছেন স্থানীয় হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিরা।

তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, ঐ ভুয়া মেডিক্যাল সনদ বাতিল করে, আব্দুল খালেক মুলত কতটুকু আহত হয়েছেন তা পুনরায় সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তুলে ধরে প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরণের দাবী জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে হাজ্ব মো. হোসেন আলী, মো. হাদিউল ইসলাম, মো. আরব আলী, মো. নুরুল ইসলাম, মো. মফিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. দীপা সরকার এর মুঠোফোনে কল দিলে, তিনি এ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।