নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সরকারী টাকায় সংস্কার করা হলো নিজস্ব পুকুর সাইড

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে প্যালাসাইডিং নির্মাণ কাজ না করে সরকারি টাকায় নিজস্ব পুকুরপাড় সংস্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফরহাদ মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।

এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বরইকান্দি গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে। সেই রাস্তা রক্ষায় প্যালাসাইডিং নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করেননি ইউপি সদস্য ফরহাদ মিয়া। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান(ইজিপিপি)কর্মসূচির আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বড়ইকান্দি গ্রামে রাজ কুমারের বাড়ির পার্শ্বের রাস্তার প্যালাসাইডিং নির্মান কাজের জন্য ১ লাখ ৮ হাজার ৪৪৮ টাকা ব্যয় ধরে একটি প্রকল্প দেয়া হয়। কিন্ত ওই প্রকল্প শুধু কাগজে থাকলেও বাস্তবে নির্ধারিত জায়গায় তা নির্মান হয়নি।

সেখানে প্রকল্পের কাজ না করে নিজস্ব পুকুরের সাইড সংস্কার করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেছেন ইউপি সদস্য ফরহাদ মিয়া। এ নিয়ে গত ১১ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই ওয়ার্ডের সাবেক নারী ইউপি সদস্য দিলোয়ারা বেগম সহ অন্যান্যরা।
অভিযোগের বিষয় নিয়ে ইউপি সদস্য ফরহাদ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

তাঁর দাবী নির্ধারিত স্থানে কাজ না করার বিষয়টি পিআইও অফিসে লোকজনদের সাথে কথা বলেই পুকুর পাড়ে কাজ করেছেন। এলজিএসপি যেখানে কাজ করেছে সেখানে তারা কাজ করবে বলে নিষেধ দিয়েছিল। আমি নতুন জনপ্রতিনিধি, এ কাজ অন্যখানে করা যায়না এটা জানা ছিলো না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল। তখন আমি এ উপজেলার দায়িত্বে ছিলাম না। যেখানে প্রকল্প দেওয়া হয়, সেখানেই কাজ করতে হবে। বিষয়টি শোনার পর মেম্বারকে ডেকেছিলাম। আমি সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম. রকিবুল হাসান বলেন, এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম পেলে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।