নেত্রকোনার মদনে অটো চালকের লাশ উদ্ধার

নেত্রকোনার মদনে জসিম উদ্দিন নামে এক অটো চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের সামনে বারড়ী জাওলা সড়কের পশ্চিম পাশে মুখে স্কচটেপ প্যাচানো অটো চালকের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে মদন থানা পুলিশ।

নিহত জসিম উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত জাফর খানের ছেলে। জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে কেন্দুয়া বসবাস করছেন।

পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতি দিনের ন্যায় শ্বশুর বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার টেঙ্গুরি গ্রাম থেকে অটো নিয়ে বের হন জসিম উদ্দিন। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। রাতে বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন ছিল।

অটো উদ্ধারকারী বারড়ী বাজারের হাসিছ মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী ঘটনা স্থলের ৫০ গজ দূরে সড়কের উপর থেকে অটোটি উদ্ধার করে বারড়ী বাজারের এক দোকানে রাখে। রাতেই তিনি অটোর ছবি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দুয়া উপজেলা থেকে অটো চালকের বড় ভাই ইউনুছ অটোটি সনাক্ত করে শনিবার সকালে বারড়ী বাজারে আসে।

ব্যবসায়ী হাদিস মিয়াকে নিয়ে অটো উদ্ধারের স্থানে যান। সেখানে তার ভাইকে খোঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে শনিবার আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে খাগুরিয়া গ্রামের সামনে বারড়ী জাওলা সড়কের পশ্চিম পাশে মুখে ও হাত- পায়ে স্কচটেপ প্যাচানো অবস্থায় জসিম উদ্দিনের মৃত দেহ পাওয়া যায়।

পরে মদন থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে মদন থানায় নিয়ে যান।

নিহতের ভাই ইউনুছ জানান, আমার ভাই প্রতিদিন রাতেই মদন-কেন্দুয়া সড়কে অটো চালায়। শনিবার সকালে বাড়িতে না ফেরায় আমরা সবাই চিন্তায় থাকি।পরে ফেসবুকে ভিডিও দেখে সকালে আমরা বারড়ী বাজারে আসি। পরে বারড়ী বাজারের ব্যবসায়ী হাদিস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে অটো পাওয়ার স্থানে যাই। সেখানে আমার ভাইয়ের লাশ মুখে স্কচটেপ প্যাচানো অবস্থায় পাই।

ব্যবসায়ী হাদিস মিয়া জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে কলমাকান্দা থেকে বাড়িতে আসার পথে খাগুরিয়া গ্রামের সামনের রাস্তায় খালি অটোটি পাই। কাউকে না পেয়ে অটোটি বাজারে নিয়ে আসি এবং অটোটি ভিডিও করে আমার ফেসবুকে পোস্ট করি।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, অটো চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।