নেত্রকোনার মদনে আওয়ামী কর্মীরা পাগড়ি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ হাতপাখা হুজুরে

২০২১-এর মোদী বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে নেত্রকোনার মদনে হাতপাখা হুজুরের মাথায় থাকা পাগড়ি কেড়ে নিয়েছিলো ছাত্রলীগ ও আওয়ামী কর্মীরা। সেই থেকে পাগড়ি পড়েন না হাতপাখা হুজুর।

হাতপাখা হুজুরের প্রকৃত নাম পারভেজ করিম। পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। তিনি মদন উপজেলার পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ” এর একজন কর্মী অর্থাৎ তিনি হাতপাখা দলের হয়ে কাজ করেন বলে, মানুষ তাকে হাতপাখা হুজুর নামে ডাকে।

হুজুরের সাথে কথা বলে জানাযায়, ২১-এর মোদী বিরোধী আন্দোলনের অংশ হরতাল চলাকালীন সময়ে উপজেলার হাসনপুর জামে মসজিদের সামন থেকে আচর নামাজের পর, উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ম-আহব্বায়ক আবীর, হুজুরের মাথায় থাকা পাগড়ি কেড়ে নেয়। পরে মুমিসিং গ্রামের আওয়ামী কর্মী শফিক ও আবীর, হুজুরের কান ধরে টেনে মাঠে নিয়ে যায়।

সেখানে উপস্থিত থাকা ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বিয়াশি গ্রামের রেনু মিয়া তাকে কান ধরে উঠবস করান। সেই থেকে তিনি আর মাথায় পাগড়ি পড়েন না। এছাড়াও ২০২৪ সালের ০৩ আগস্ট বিকালে আন্দোলনের পক্ষে মাইকিং করার সময় আওয়ামী কর্মীরা তাকে হাসনপুর বাজারে একটি ঘরে ৩ ঘন্টা আটকিয়ে রাখেন এবং ৩ ঘন্টা পর সন্ধ্যায় তাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। আওয়ামী কর্মীদের আঘাতে তার পরনে থাকা পাঞ্জাবী ছিড়ে গিয়েছিলো।

পারভেজ হুজুর বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান, আওয়ামী সমর্থিত পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিচার নির্বাচনের আগেই শেষ করতে হবে এবং আওয়ামী কর্মীদের ফ্যাসিস্ট হিসাবে সরকারি ভাবে ঘোষণা দিতে হবে।