নেত্রকোনার মদনে আদালতের রায়ে চেয়ারম্যান হলেন আবু তাহের আজাদ

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় বিগত ৫ জানুয়ারি ২০২২ সালে সাড়া দেশে ন্যায় মদন উপজেলায় স্থানীয় সরকার নিবার্চন অনুষ্টিত হয়।
জানা যায়, উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সাবেক উপজেলার বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু তাহের আজাদ, আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হলেও তাকে বিজয়ী ঘোষণা না করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকা প্রতীক শাফায়াত উল্লা রয়েলকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গবীর রাতে নৌকা প্রতীককে বে-সরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ বুলবুল আহম্মদ।
এ ফলাফল প্রত্যাখান করেন, মোঃ আবু তাহের আজাদ ও তাঁর সমর্থকরা। তা নিয়ে আইন শৃখলা বাহিনীর সাথে রাতে দফায় দফায় সংর্ঘষ হয়। এতে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু তাহের আজাদসহ অনেক সাধারণ জনগন আহত হয়।
ফ্যাসিষ্ট সরকার বিদায় হলে আবুতাহের আজাদ নেত্রকোনার সহকারী আদালতে ভোট কারচুপির মামলা করেন।যা সর্বশেষ ৭ আগস্ট-২০২৫ তারিখে নেত্রকোনার উচ্চ আদালত ৮৩৮ ভোট বেশি পেয়ে আদালত কর্তৃক কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদের বে-সরকারি ভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন, মোঃ আবুতাহের আজাদকে। এ বিষয় সাবেক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার হামিদ ইকবাল নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার আমি এ বিযয় কিছু জানি না এ বলে ফোন কেটে দেন।
উপজেলার বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আবু তাহের আজাদ বলেন, আমি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পেয়েছি। পলাতক সরকারের উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শাফায়াৎ উল্লা রয়েল ৩ বছর সাত মাস অবৈতনিক ভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখে ছিল। আপনাদের মাধ্যমে আমি এর ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি মোঃ নূরুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ, উপজেলা বিএনপি সাবেক আহবায়ক আব্দুল হেলিম ভুলু,পৌর সভার সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান সম্রাট, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল আলম লালু, উপজেলার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, শামীম হাসান, বিএনপি নেতা সেতারা চৌধুরী প্রমূখ।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন