নেত্রকোনার মদনে কৃষকলীগ নেতা ইউএনওকে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেলেন নিজেই
নেত্রকোনার মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়াকে ফাঁসাতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি ভূঁয়া ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করেছে খায়রুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে। খায়রুল ইসলাম গোবিন্দশ্রী গ্রামের মৃত সুলতু মিয়ার ছেলে। তিনি গত ৬/৭ মাস যাবত জীবিকার তাগিদে চট্রগ্রামে পানি বিক্রি করছেন।
এমন অভিযোগ শুনে ১ অক্টোবর গ্রামের বাড়িতে আসেন খায়রুল ইসলাম। পরে তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি উল্টো অভিযোগ দায়ের করেন।
খায়রুল ইসলাম জানান, আমি একজন হতদরিদ্র দিন মজুর অক্ষরজ্ঞানহীন। দীর্ঘদিন ধরে চট্রগ্রামে জীবিকা নির্বাহের জন্য বসবাস করছি। গত ৪ সেপ্টেম্বর আমার ও বাবার নাম ব্যবহার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরবার একটি অভিযোগ দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসী অভিযোগ সর্ম্পকে আমার নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চায়।
আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। অথচ অভিযোগে আমার স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে। আমি মদন নির্বাহী অফিস ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কোন দিন যায়নি এবং চিনি না। আমাকে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগকারী বানানো হয়েছে। আমি জানতে পারি আমার নাম ব্যবহার করে প্রতিবেশী গোবিন্দশ্রী গ্রামের মৌলানা আব্দুল মান্নানের ছেলে সাংবাদিক কামাল হোসেন মন্ডল ষরযন্ত্র মূলকভাবে এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
আমাকে হয়রানি করার জন্য আমি এর বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ২ অক্টোবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ নুরুল আলম তালুকদার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন গোবিন্দশ্রী গ্রামের মৃত সুলতু মিয়ার ছেলে খায়রুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে এক ব্যাক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নামে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আমি জানতে পারলাম খায়রুল ইসলাম এ বিষয়ে নিজেই কিছু জানে না। সে একজন দিন মজুর চট্রগ্রামে বসবাস করে।
অভিযুক্ত কৃষকলীগ নেতা কে এইচ এম নূরুল আলম কামাল মন্ডল বলেন, অভিযোগটি খায়রুলের হাত থেকে পায়নি। অন্য একজন দিয়েছিল। কে দিয়েছিল এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। কিছু লোক আমার বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন,গত মাসে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি। আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত থাকলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, গত ২ অক্টোবর খায়রুল ইসলামের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন