নেত্রকোনার মদনে ছুটি না পেয়ে চিকিৎসার অভাবে মারা গেলেন শিক্ষক

নেত্রকোণা মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী বাঘমারা আব্দুল রাজ্জাক দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাফেজ মোঃ মনজুরুল হক কিছু দিন যাবৎ অসুস্থতায় ভুগতেছিলেন। সুপারের কাছে ছুটি চেয়েও ছুটি পাননি তিনি। অবশেষে কর্মরত অবস্থায় মাদ্রাসা টয়লেট মারা গেলেন শিক্ষক।

বুধবার (১২ জুন) জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার বালিজুড়া গ্রামের মৃত তাহের আলী ছেলে। প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় আসেন উক্ত শিক্ষক, কিন্তু তিনি শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ ছিলেন। এমতাবস্থায় টয়লেটে যান তিনি। এদিকে তার ছোট ছেলে জুনায়েদ(০৭) সকাল ১১ টার দিকে তার বাবাকে খুঁজে মাদ্রাসায় আসলে সুপার তাকে জানায় তোমার বাবা টয়লেটে গেছে।

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর জুনায়দে টয়লেটে গিয়ে দেখে তার বাবা অচেতন অবস্থায় সেখান পরে আছে। তার চিৎকার শুনে সুপার বজলুর রহমান গিয়ে সহকারী শিক্ষক হাফেজ মোঃ মনজুরুল হককে অচেতন অবস্থায় শ্রেণি কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয় মৃতের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলো। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে চিকিৎসার জন্য বার বার ছুটি চাইলেও আমার স্বামীকে সুপার ছুটি দেয়নি।

সুপার মোঃ বজলুর রহমান জানান, সহকারী শিক্ষক হাফেজ মোঃ মনজুরুল হক আমার কাছে কোনো লিখিক ছুটির জন্য আবেদন করেনি।

সভাপতি মোঃ আরজু মিয়া জানান, মৃত সহকারী শিক্ষক চিকিৎসার জন্য ছুটি চেয়েও যে ছুটি পায়নি এ বিষয়টি তাঁর স্ত্রী আজ আমাকে অবগত করেছেন। চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে একজন শিক্ষক মারা গেলো তা খুবই দুঃখ জনক।

ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, মৃত হাফেজ মোঃ মনজুরুল হক চিকিৎসার জন্য সুপারের নিকট ছুটি চেয়েছিলেন এমন বিষয়ে মৃতের স্ত্রী বা অন্য কেউ এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।