নেত্রকোনার মদনে জামায়াত কর্মীকে পিটিয়ে দাঁত ভেঙ্গে দিল আ.লীগ কর্মীরা

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক শাখার কর্মীকে পিটিয়ে দাঁত ফেলে দিলো ছত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী কর্মীরা। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে নেত্রকোনা মদন পৌর শহরের দেওয়ান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন রাতেই আহতের ভাই বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

আহত আঃ হালিম (৩২) মদন পৌর শহরের ৮ নং ওয়র্ডের মৃত আঃ হকের ছেলে। তার ছোট ভাই ছাব্বির হাসান (বাদী) জামায়াতের শ্রমিক শাখার পৌর সভাপতি। এমনকি তার পরিবারে মহিলারাও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী।

জানা যায়, তার প্রতিবেশী রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে শুভ (৩০) ছাত্রলীগের ওয়ার্ড সা.সম্পাদক ও রিয়াজ উদ্দিনের ভাই সুলতান আ.লীগের ওয়ার্ড সভাপতি এবং পরিবারের সকলেই আ.লীগের কর্মী। গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হালিমের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছে শুভ’র পরিবার। হালিমের মামা বিএনপি নেতা আহাদ গত ১৬ বছরে প্রায় অর্ধশত রাজনৈতিক মামলার আসামি হয়েছেন।

বাদী ছাব্বির বলেন, আমার ছোট মামা সোহেল জামায়াতের শ্রমিক শাখার কর্মী। তাঁর ০৬ বছরের ছেলেকে আমিন কসাইয়ের ১২ বছর বয়সী ছেলে মারধর করলে, সেজো মামা আহাদ ও সুলতান নেতার পরিবারের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর, মুহাম্মদ আলীর দোকানের সামনে আমার ভাইকে একা পেয়ে আমিন কসাই ও শুভ তার দলবল আমার ভাইয়ের উপর আক্রমণ করে। এতে আমার ভাইয়ের সামনের ১টি দাঁত ভেঙ্গে গেছে এবং মাথা ফেটে গেছে।।

শুভ’র পিতা বিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে ছাত্রলীগের ওয়ার্ড সেক্রেটারী ও আমার ভাই সুলতান আ.লীগের ওয়ার্ড সভাপতি এবং আমিও আ. লীগের কর্মী এটা সত্য। কিন্তু এমনি তো আর ঝগড়া হয় না! কেনো যে ঝগড়া হলো তা খুঁজে দেখেন?

ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসনান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।