নেত্রকোনার মদনে ফসলি জমি’র দু’পক্ষেরই মালিকানা দাবি
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/08/IMG_20230826_113230-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
নেত্রকোণার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের ধোবাহালা মৌজার ২০ শতাংশ ফসলি জমির মালিকানা দাবি করছেন দু’পরিবার। একপক্ষ ধোবাওয়ালা গ্রামের মৃত মেনজু মিয়ার ছেলে জাহেদ মিয়া (৪৩) ও অপরপক্ষ একই গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকে’র ছেলে রঞ্জু মিয়া (৪৭)।
এ বিষয়ে রঞ্জু মিয়া বলেন, ধোবাহালা মৌজায় বিআরএস ৩২৬ নং খতিয়ানে, ৯৭৮নং দাগে, শ্রেণী – কান্দা আমার মা মৃত জসিদা আক্তারের নামে ২০ শতাংশ জমি শুদ্ধ ভাবে প্রকাশিত হইয়াছে। আমাদের জমিতে কিছুদিন আগে গাছ রোপণ করেছিলাম। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে জাহেদ মিয়া তার দলবল নিয়ে জোরপূর্বক আমাদের জমি হালচাষ করে ফেলে। তাই ঐ দিনই থানা জাহেদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করি।
জাহেদ মিয়া জানান, ধোবাহালা মৌজায় শ্রেণী- কান্দা’য় এসএ খতিয়ান নং- ৪৩১, ৭১৮ নং এসএ দাগে মোট ৩৩ শতাংশ জমির হিংস্যা অনুযায়ী ১৩ শতাংশের মালিক ছিলেন ইদ্রিছ আলী এবং ২০ শতাংশের মালিক হোসেন আলী। পরবর্তীতে বিআরএস রেকর্ডে ২৪২ নং খতিয়ানে, ৯৭৭ নং দাগে ১৩ শতাংশ জমি ঐ ইদ্রিছ আলী’র নামেই শুদ্ধভাবে প্রকাশিত হয়।
অন্যদিকে, হোসেন আলী’র মুত্যুর পর তার ছেলে মোঃ নুরুল আমিন ২০ শতাংশ জমি ইংরেজি ১৯৭৭ সালে এসএ দাগ-খতিয়ান মূলে আব্দুল বারেক এরy ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন’র কাছে বিক্রি করে দেন, যার দলিল নং-২৩৩৩। মোঃ জসিম উদ্দিন ২৩৩৩ নং দলিল মূলে জমির মালিক হয়ে ২০০৪ সালে মোঃ রতন মিয়া’র নিকট বিক্রি করে দেন, যার দলিল নং-৭২০।
মোঃ রতন মিয়া ৭২০ নং দলিল মূলে উক্ত জমির মালিক হয়ে ২০১০ সালে আমার নিকট বিক্রি করে। সেই থেকে আমি ভোগ দখর করে আসছি। আমি মালিক হওয়ার পর আমার নামে নামজরি করাতে গেলে আমি জানতে পারি যে, ১৯৮২ সালের বিআরএস রেকর্ডে জসিম উদ্দিনের পরিবর্তে ভুলবসত জসিদা আক্তার আসে এবং জসিম উদ্দিন’র পিতার নাম আব্দুল বারেক। অন্যদিকে জসিদা আক্তারের স্বামীর নাম আব্দুল বারেক হওয়ায় তারা এই জমির মালিকানা দাবি করছে।
প্রকৃত পক্ষে এসএ রেকর্ডে জসিদা আক্তারের স্বামী কিংবা পিতা তাদের কাহারই নাম নেই। এমনকি ক্রয় সূত্রেও জসিদা আক্তারের পিতা বা স্বামী এই সম্পত্তির মালিক ছিলেন না। শুধু নাম ভুলের কারনেই উক্ত জমির মালিকানা দাবি করছেন তারা। নাম সংশোধনের জন্য আমি আদালতে’র শরণাপন্ন হলে, আদালত তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ করার পর থেকেই তারা এই জমির মালিকানা দাবি করছেন।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে, জাহেদ মিয়ার বক্তব্যের সত্যতার প্রমাণ মিলেছে।
এ বিষয়ে এস আই জাকির হোসাইন জানান, রঞ্জু মিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে জানতে পারি, উল্লিখিত জমিতে রেকর্ড সংশোধনী একটি মামলা চলমান রয়েছে। যার বাদী মোঃ জাহেদ মিয়া। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। বিশৃঙ্খলা না করতে, দু’পক্ষকেই নিষেধ করা হয়েছে।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন