নেত্রকোনার মদনে রাতের আধাঁরে বিদ্যালয়ের জমিতে ঘর নির্মাণ

নেত্রকোনার মদনে রাতের আধাঁরে বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে ঘর নির্মাণ করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগটি দায়ের করেন। উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নে শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীধরপুর গ্রামের হাজী শামছুল হক ১৯৯৪ সালে বালালী মৌজায় ১২২৬ খতিয়ানভুক্ত ১১ ও ১০ নং দাগে বিদ্যালয়ে নামে ভূমি দান করেন।

উক্ত বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। বিদ্যালয়ের উত্তর পাশ্বে ছোট একটি গর্ত ছিল, যা সরকারি বরাদ্দ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গর্ত ভরাট করে শিশুদের খেলাধুলার জন্য মাঠ উপযোগী করে তোলা হয়। গত কয়েক বছর যাবত বিদ্যালয়টি উত্তর পাশ্বে আম্বিয়া আক্তার নামে এক বাসিন্দা বসবাস করে।

গর্ত ভরাট করার পর থেকেই ওই আম্বিয়া জমির একাংশ দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছেন। এ নিয়ে কয়েকবার বাঁধা দেয়া হয়। এর পরেও বাঁধা উপেক্ষা করে মহিলা ২৫ মে রাতে আধাঁরে তার লোকবল নিয়ে মাঠের উত্তর পাশ্বে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে।

এতে শিশুদের খেলাধুলার বন্ধ হয়ে গেছে। এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরজমিনে গেলে, বিদ্যালয়ের উত্তরপাশ্বে একাংশের জমিতে একটি টিনশেড ঘর তৈরি করার দৃশ্য চোখে পড়ে।

স্থানীয়রা সংবাদকর্মীদের দেখে পাশের কিছু লোকজন, অভিযুক্ত আম্বিয়া ও বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক এগিয়ে আসেন।

এ সময় অভিযুক্ত আম্বিয়া আক্তার বলেন, এ জমিটি আমার। হাফিজুর অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করতেছে। পুলিশ আমাকে আজ থানায় ডেকে ছিল আমি যাইনি।

বিদ্যালয়টির জমিদাতা হাজী শামছুল হক বলেন, এই জমি প্রায় ৩০ বছর হল বিদ্যালয়ের নামে দলিল মূলে দান করে দিয়েছি। আম্বিয়া বলে এই জমির একাংশ আমার। এত দিন আম্বিয়া কোথায় ছিল? যেহেতু সরকারের নিকট এই জমি দিয়ে দিয়েছি সরকারেই বিষয়টি বুঝবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাঈদা রুবায়েত বলেন,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলের জায়াগায় রাতের আধাঁরে ঘর নির্মাণ করেছে, এমন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি ইউএনও স্যারের নিকট পাঠানো হয়েছে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জমির পরিমাপ নির্ধারণ করার জন্য।

ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান, অভিযোগটি আমি এখনো পাইনি। হয়তো ডাক ফাইলে থাকতে পারে। সরকারি জমি দখল করে কেহ ঘর নির্মাণ করে থাকালে সার্ভেয়ার ধারা জমিটির পরিমাপ নির্ধারণ করব। যদি কেহ বিদ্যালয়ের জায়গা ঘর তৈরি করে দখলে নিয়ে নেয় তাহলে উচ্ছেদ এর ব্যবস্থা করা হবে।