নেত্রকোনার মদনে সরকারি রাস্তায় গাছ কর্তন!

নেত্রকোনার মদনে সরকারি রাস্তায় গাছ কাটলেন বরাটি- মোয়াটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুশান্ত ভৌমিক। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা ওবায়াদুল্লা খান ইউএনও বরাবর ১৮ মে ২০২৫ তারিখে একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৭ দিনেও প্রতিবেদনটি আলোর মুখ দেখেনি।
জানা যায়, বাড়রি ছনপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে শিক্ষক সুশান্ত ভৌমিক। তিনি মদন-কেন্দুয়া সড়কের রামপুর বাড়রি ছনপাড়া গ্রামের শিমুল চন্দ্র বাড়ির সামনের সড়কের পাশ থেকে নিজ ক্ষমতা বলে দুইটি রেন্ট্রি গাছ ও একটি কড়ই গাছ কর্তন করে। যার আনুমানিক মূল্য অর্ধলাখ টাকা। শিক্ষক সুশান্ত গাছ গুলো কর্তণ করেই ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ইউএনও কে জানালে, তিনি কাইটাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা ওবায়াদুল্লা খান ১৮ মে ২০২৫ ইং তারিখে ইউএনও বরাবর একটি প্রতিবেদন জমা দেন। ২৭ দিন অতি বাহিত হলেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে ইউপি মেম্বারের নিকট জিম্বায় রাখা গাছের কাটা অংশ গুলো রাস্তার পাশেই পড়ে রয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সুশান্ত ভৌমিক জানান, গাছ গুলো আমার বাবা রোপন করেছিল। তাই আমি গাছ গুলো কেটে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমার বড় ভাই ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছেন। এখন কাইটাইল ইউনিয়নের নায়েব এসে গাছ গুলো সুহেল মেম্বারের জিম্বায় রেখে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদ মিয়া জানান, সড়কের পাশে থাকা তিনটি গাছ সুশান্ত কেটে ফেলে। আমরা এ ব্যাপারে নিষেধ করলেও সে বাঁধা মানেনি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে কাইটাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা গাছগুলো মেম্বার সোহেল মিয়ার জিম্বায় রাখে। একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষক রাস্তার গাছ কাটা ঠিক হয়নি। সঠিক তদন্তে ব্যবস্থা নেয়া হউক।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা ওবায়াদুল্লা খান জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমি সরজমিনে গিয়ে গাছ গুলো রাস্তার পাশে পেয়ে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার নিকট জিম্বায় রেখে এসেছি। এ ব্যাপারে ১৮ মে ২০২৫ তারিখে স্যারের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান,স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাইটাইল ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে সরজমিনে পাঠাই। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আমার নিকট ১৮ মে ২০২৫ ইং তারিখে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ঈদের ছুটির কারণে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে, আমি অচিরেই সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ করে ব্যবস্থা নেব।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন