নেত্রকোনার মদন ফতেপুর রাস্তায় ২ সেতু যেন মরণ ফাঁদ

নেত্রকোনার মদন-ফতেপুর সড়কে যাতায়াত করার একমাত্র মাধ্যম এই দুই সেতু। তুই সেতুর মাঝখানে স্লাব ভেঙে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রডগুলো চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। উপজেলার শ্রীধরপুর ও পরশখিলায় অবস্থিত দুই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ।

ফলে দুই সেতু দিয়ে কোন ভারী যানবাহন চলতে চলাচল করতে পারছে না। বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান উপজেলা সদরে এনে বিক্রি করাও সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে কৃষকরা পাচ্ছে না ধানের প্রকৃত মূল্য। দীর্ঘদিন ধরে দুটি সেতু বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই সেতুর দুই পাড়ের বাসিন্দারা। জরুরী ভিত্তিতে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে পথচারী তোফাজ্জল হোসেন,ইমরান, ফয়েজ আহমেদ হৃদয়, খোকন মিয়া,শফিয়ন তালুকদার,মোঃ রহুল আমিন জানান, মদন ফতেপুর সড়কটি যেমন মরণ ফাদঁ তেমনি এ রাস্তায় দুই সেতুও মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। উপজেলা প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে অবগত করা হলেও দুই পাশে দুটি সর্তক সাইন বোর্ড দিয়ে দায়সারা কাজ করেছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার সফি, তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মাষ্টার জানান, এ সড়কটি দিয়ে তিন ইউনিয়নের ৩৫ গ্রামের লোকজন যাতায়ত করে। ১৪ কিলোমিটার এ সড়কটি বেহাল অবস্থা। তিন কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হলেও এখন তা বন্ধ রয়েছে।

এ সড়ক মধ্যে চারটি সেতু রয়েছে। দুটি সেতুর স্লাব ভেঙে যাওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ছোট ছোট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সভায় উত্তোলন করা হলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার দুটি সেতু পরিদর্শন করেছেন। দুটি সেতুই বেহাল অবস্থা। স্যার আমাকে বলেছেন ইস্টিমেট তৈরি করার জন্য। দু’এক দিনের মধ্যেই ইস্টিমেট তৈরি করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। আশা করছি খুব দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন হবে।