নেত্রকোনার মদন হাসপাতাল এখন নিজেই রোগী

যেখানে রোগী সেই রুমের চার দিকে স্তুপ করে ময়লা রাখা। দূর্গন্ধে নাক-মুখে চেপে ধরে সময় পাড় করেছেন রোগী ও স্বজনরা। কয়েক দিনের ময়লা জমানো ময়লাই হাসপাতাল এখন নিজেই রোগী হয়ে গেছে। থাকার মতো পরিবেশ না থাকায় কেউ আবার ছুটি না নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ছাড়ছেন। এমন বেহাল দশা নেত্রকোনার মদন উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালের।

স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও নজরদারী না থাকায় হাসপাতালের এমন নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ভুগছেন মদন,আটপাড়া,খালিয়াজুরি উপজেলার লাখো মানুষ। কর্তৃপক্ষের দাবি হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে আউটসোর্সিং কর্মীরা। কিন্তু মদন হাসপাতালের ১৪ জন আউটসোর্সিং কর্মীর বেতন-ভাতা এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বেতনের দাবিতে আউটসোর্সিং কর্মীরা কর্ম-বিরতীকে থাকায় হাসপাতালের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিনে হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, চার দিকে ময়লার স্তুপ। দূর্গন্ধে নাক-মুখ চেপে সময় কাটাচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালে ভর্তি দেওসহিলা গ্রামের কামাল হোসেন, মাঘান গ্রামের রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীপুর গ্রামের সুমন জানান, ‘ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু হাসপাতালে থাকার কোন পরিবেশ নাই। দূর্গন্ধ আর ময়লা আর্বজনায় আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। পরিষ্কার তো করেই না ঠিক মতো ডাক্তারও আসে না।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান জানান, ‘আউটসোর্সিং কর্মীরা বেতন না পেয়ে কর্ম বিরতীতে রয়েছে। তাদের বেতন মূলত জেলা সিভিল সার্জন অফিস দিয়ে থাকে। তাই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে।’