নেত্রকোনায় শিশুকে শেকলে বেঁধে নির্যাতনকারী গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার মদন এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে শেকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন মীর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে নিজ গ্রাম থেকেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
এলাকার কয়েকজন ঘটনা সম্পর্কে বলছে, গত ২৩ জুন সকালে সুমন মীর তার ঘরের একটি বাক্সে সাড়ে ১১ হাজার টাকা রাখেন। তখন সেখানে তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও প্রতিবেশী ওই শিশুটি উপস্থিত ছিল। বিকেলে হাওর থেকে ফিরে সুমন বাক্সের টাকা না পেয়ে ওই শিশুকে সন্দেহ করেন।
রাতে সুমন শিশুটিকে ধরে এনে তার ঘরে পরিবারের লোকজন নিয়ে রাতভর নির্যাতন করেন। পরদিন সকালে শিশুটির মাথা ন্যাড়া করে বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটির শেকলে বেঁধে রাখেন তিনি।
এরপর ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান উদ্দিন শিশুটিকে মুক্ত করে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় শিশুটির চাচা এমদাদুল হক বাদী হয়ে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুমনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরপরই সুমনকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান আসামি সুমন মীরকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুই আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
গ্রেপ্তার সুমন মীর ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামের মো. কাজল মীরের ছেলে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন