নেপালের কাছেই ভাঙল সাফের স্বপ্ন
স্বপ্ন শেষ হলো সেই নেপালের কাছেই। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রেখেও জিততে পারল না বাংলাদেশ। ১-১ গোলের ড্রয়ে আবারো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আরেকটি ব্যর্থতার গল্প লিখল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠল নেপাল। ৯ মিনিটে সুমন রেজার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দারুণ সব সেভে আনিসুর রহমান জিকো লিড ধরে রাখেন। ৭৮ মিনিটে তিনি লাল কার্ড দেখলেই সর্বনাশের সূচনা। পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে ৮৮ মিনিটে।
৯০ মিনিট: ইনজুরি টাইম ৬ মিনিট।
৮৮ মিনিট: পেনাল্টি নেপালের। অঞ্জনে শট বুঝতে পেরে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু উঁচু দিয়ে বল জড়ায় জালে।
৭৮ মিনিট: দারুণ সব সেভের পর লাল কার্ড দেখলেন বাংলাদেশের গোলকিপার। বক্সের বাইরে এসে অঞ্জন বিষ্টার শট ঠেকাতে গিয়ে হাত দিয়ে বল ধরায় রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মার্চিং অর্ডার দেন। বিনা প্রতিবাদে ভুল স্বীকার করে মাঠ ছাড়েন ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের নায়ক বাংলাদেশ গোলকিপার জিকো। তার বদলি হয়ে গোলপোস্টে আশরাফুল ইসলাম রানা।
৭০ মিনিট: গৌতমের চমৎকার ক্রস রোহিত হেড করেন। গোলবারের কয়েক ইঞ্চি পাশ দিয়ে চলে গেল বল।
৬৪ মিনিট: বাংলাদেশি গোলকিপারের দুর্দান্ত সেভ। ফ্রি কিক থেকে খেলা বলে সতীর্থের ক্রসে নবযুগের নিচু হেড দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন জিকো।
৬০ মিনিট: ডান দিক থেকে গৌতমের ক্রস লাফিয়ে সেভ করেন জিকো।
৫৫ মিনিট: কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সুজলকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন সুজন। তার নিচু শট দারুণ দক্ষতায় বিপদমুক্ত করেন চেমজং।
৫৩ মিনিট: আয়ুশের ফ্রি কিক থেকে কিছুক্ষণ বল দেওয়া নেওয়ার পর অনন্ত তামাংয়ের হেড পাস থেকে বিশাল রায়ের হেড দারুণভাবে রুখে দেন জিকো।
৪৮ মিনিট: ফ্রি কিক নেপালের। আয়ুশ কিক নেন। বাংলাদেশ গোলকিপার ঠাণ্ডা মাথায় পাঞ্চ করে বল ফেরান।
৪৬ মিনিট: দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
নেপালের বিপক্ষে স্বস্তি নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ। ৯ মিনিটে সুমনের গোলে এগিয়ে যায় তারা। তারপর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে সাজানো ছিল বাকি সময়। যেখানে নেপাল যেমন সুযোগ নষ্ট করেছে, তেমনই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশও। বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ (৩৪%) নেপালের চেয়ে (৬৬%) পিছিয়ে থাকলেও কাজের কাজটা করেছে একমাত্র গোল করে। জয়ই তাদের ফাইনালে তুলতে পারে। অন্যদিকে নেপাল ড্র করলেই উঠবে ফাইনালে। তাই দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া থাকবে তারা।
৪৫+১: প্রথমার্ধের ইনজুরি সময় ২ মিনিট। রোহিতের ক্রস বক্সের মধ্যে পান আয়ুশ। তার বুলেট গতির হেড অল্পের জন্য গোলবারের পাশ দিয়ে যায়।
৪২ মিনিট: নবযুগের ক্রস গোলমুখের পাশে থাকা অঞ্জনের কাছে পৌঁছানোর আগেই সাদ হেড করে বিপদমুক্ত করেন। কর্নার কিক পায় নেপাল। রোহিতের কিক থেকে দিনেশের ফ্লিক হেড রুখে দেন জিকো।
৪১ মিনিট: বাংলাদেশের কর্নার কিক, নেন জামাল। সুজল বক্সে থেকে হেড করে বাইরে বের করে দেন। তবে বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের ফিরতি শট ধরে ফেলেন গোলকিপার চেমজং।
৩৪ মিনিট: ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখলেন সাদ উদ্দিন। নেপালের ফ্রি কিক। সুজল শট নেন, জিকো কোনোমতে বল হাতে ধরলেন।
৩২ মিনিট: অঞ্জন দারুণ পাস দেন বক্সের মধ্যে আয়ুশকে। বল পাওয়ার মুহূর্তে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন তারিক কাজী। তপু বল বিপদমুক্ত করেন।
২৩ মিনিট: অঞ্জনের ফ্রি কিক লাফিয়ে গোলবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশি গোলকিপার জিকো।
২২ মিনিট: দারুণ সুযোগ নষ্ট করল বাংলাদেশ। বল দখলের লড়াইয়ে দিনেশ রাজবংশীকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ চেষ্টায় ডান দিক দিয়ে নেপালের বক্সে ঢুকে পড়েন সুমন। বক্সে তার পাসের অপেক্ষায় ইব্রাহীম ছিলেন। কিন্তু তাকে পাস দেননি সুজন। নিজেই শট নেন এবং মাটি গড়ানো শট সহজে ধরে ফেলেন নেপালি গোলকিপার চেমজং।
১৭ মিনিট: বাংলাদেশের ফ্রি কিক। জামালের শর্ট ফ্রি কিকে বক্সে ইব্রাহীম ও সাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন সুজল।
১৪ মিনিট: গৌতম বক্সে ঢুকে বল দেন সুজলকে নেপালি ফরোয়ার্ড সরাসরি বল গোলবারের ওপর দিয়ে পাঠান।
গো….ও…ল: দারুণ গতিতে এগোতে থাকা রাকিবকে বক্সের বাঁ প্রান্তে ফাউল করেন গৌতম। ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার ডান পায়ের শট নেপালি খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে গোলমুখের সামনে যায়। ৯ মিনিটে সুমন রেজা দারুণ হেডে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন। বাংলাদেশ ১-০ নেপাল।
৭ মিনিট: লক্ষ্যে প্রথম শট নেপালের। নবযুগের শট সরাসরি গোলকিপার জিকোর হাতে।
৩ মিনিট: নেপালের কাউন্টার অ্যাটাক। আয়ুশ পাস দেন নবযুগকে। তপু বর্মণ ট্যাকটিকাল ফাউল করেন বক্সের একটু সামনে, দেখেন হলুদ কার্ড। সুজল ফ্রি কিক নেন। শট চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
৪টা ৫৭ মিনিট: দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠে ঢুকেছেন। জাতীয় সংগীত বাজছে। বাংলাদেশ খেলছে ৪-৪-২ ফরমেশনে।
৪টা ৩৭ মিনিট: ২০০৫ সালের পর প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মালদ্বীপের মালেতে নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে রক্ষণে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। ইয়াসিন আরাফাত হলুদ কার্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারছেন না, রক্ষণে জায়গা পেয়েছেন টুটুল হোসেন বাদশা। ভারতের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখা বিশ্বনাথ ঘোষও ফিরেছেন। ফাইনালে জায়গা পেতে ম্যাচটি জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
নেপাল স্কোয়াড: কিরন চেমজং, দিনেশ রাজবংশী, অনন্ত তামাং, রোহিত চাঁদ, গৌতম শ্রেষ্ঠ, পুজান উপার্কোটি, তেজ তামাং, সুজল শ্রেষ্ঠ, আয়ুশ ঘালান, নবযুগ শ্রেষ্ঠ, অঞ্জন বিষ্টা।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: আনিসুর রহমান জিকো, টুটুল হোসেন বাদশা, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, বিশ্বনাথ ঘোষ, জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ সাদ উদ্দিন, বিপলু আহমেদ, রাকিব হোসেন, মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন