নেপালের কাছে ২-০ গোলে হেরে বাংলাদেশের বিদায়
সেমিফাইনালে উঠতে হলে যেখানে কেবল ড্র’ই ছিল যথেষ্ট, সেখানে নেপালের কাছে ২-০ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিলো বাংলাদেশ। অসাধারণ খেলেও পরাজয় হলো সঙ্গী। দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে পাকিস্তানের ৩-০ গোলে জয়ের সমীকরণ কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের। তিন দলেরই পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে সমান ৬ করে। কিন্তু গোল ব্যবধানে নেপাল এবং পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে থাকলো বাংলাদেশ।
হারা যাবে না- এমন সমীকরণ নিয়েই নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামে জেমি ডে’র শিষ্যরা। আগের দুই ম্যাচে ভুটান এবং পাকিস্তানকে হারানোর কারণে দারুণ উজ্জীবিত ছিল বাংলাদেশ দল। শুরু থেকেই তপু বর্মণরা আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে কাঁপন ধরিয়ে দেয় নেপালের রক্ষণভাগে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য সঙ্গী হলে যা হয় আরকি! ৩৩ মিনিটে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের অমার্জনীয় ভুলের খেসারত দিয়ে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। রাইট উইংয়ে ফ্রি-কিক পায় নেপাল। শট নেন নেপালের বিমল ঘার্তিমাগার। তার নেয়া দুর্দান্ত শটটি চলে আসে সোজা গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের হাতে। দুই হাত মাথার ওপর বাড়িয়ে বলটি লুফে নেন গোলরক্ষক। কিন্তু হাতে আর বলটি জমিয়ে রাখতে পারলেন না। তার হাত গলে বল চলে গেলো জালে।
যেখানে হারা যাবে না- এমন কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের সামনে, সেখানে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের অমার্জনীয় ভুল বাংলাদেশকে ঠেলে দিলো ব্যাকফুটে। নীলফামারীতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচেও এই গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের ভুলের কারণে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এসেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি।
১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর একের পর এক আক্রমণে নেপালের রক্ষণভাগ ব্যস্ত রাখে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোল দিয়ে এগিয়ে থাকার কারণে পুরোপুরি ডিফেন্সিভ হয়ে যায় নেপাল। বক্সের মধ্যেই তারা ৮ থেকে ৯ জনকে রেখে দেয়। তবুও, ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে (৯০ মিনিট) প্রতি আক্রমণে আরও একবার বল জড়িয়ে দেয় বাংলাদেশের জালে।
৯০ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে নবযুগ শ্রেষ্ঠ গোল করে নেপালের জয় নিশ্চিত করেন। আর হতাশায় মুষড়ে পড়েন বাংলাদেশের খেলোয়াড় থেকে দর্শকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন