নোবিপ্রবি ভিসি, প্রো-ভিসির পদত্যাগের দাবিতে জেলাপ্রশাসকে স্মারকলিপি প্রদান
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি সমন্বয়কবৃন্দ। উক্ত স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির নিকট প্রদান করা হয়।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৫.০০ টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়ক বানী ইয়ামিন ও মাহমুদুল হাসান আরিফ এর নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক এর নিকট এ স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে সমন্বয়কবৃন্দ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে ভিসি ও প্রো ভিসির পদত্যাগ দাবি করা হয়। তা হলো: শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান হ্রাস,আর্থিক অনিয়ম,ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের অনুভুতি, প্রশাসনিক অব্যবস্থপনা, বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনিয়ম, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা, উচ্চ আদালতের আদেশ অবজ্ঞা ইত্যাদি।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির আল্টিমেটাম অনুয়ায়ী ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রার এখনো পদত্যাগ না করায় নোবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন,একাডেমিক ভবন-১ ও ২ এবং লাইব্রেরি ভবন, ভিসির বাস ভবন, ভি.আই.পি গেস্ট হাউসে তালা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
গত ১২ আগস্ট উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রশাসন পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসকে ‘শাটডাউন’ করার হুশিয়ারি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়কবৃন্দ।
এ প্রসঙ্গে নোবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, গত ৫ তারিখের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদত্যাগ করার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু এই নির্লজ্জ ভিসি পদত্যাগ না করে বলেন পদত্যাগ করার মতো কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। তাই, তার কেন পদত্যাগ করা উচিত সেই কারণগুলো লিখে আমরা সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন