নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে ডাকাতের মৃত্যু
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাতের দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ভূপতিপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়িতে চোর আখ্যা দিয়ে নাসির উদ্দিন মাসুদ (৩৭) নামে আরেক যুবকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতের দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
নিহত মোশারফ হোসেন (৪৩) জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী-ফেনীসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.ইদ্রিস জানায় , বুধবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মালেশিয়া প্রবাসী সাইফুদ্দিনের ঘরে সিঁধ কেটে একদল ডাকাত ঢুকে। ওই সময় প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরে ছিলনা। তারা আগের দিন প্রবাসীর বোনের বাড়িতে সেনবাগ বেড়াতে যায়। বিষয়টি টের পায় একই বাড়ির জুনায়েদ (৩৪)। পরে জুনায়েদ বিষয়টি প্রবাসী সাইফুদ্দিনের বড় ভাই বাহার উদ্দিন মিজানকে (৫৫) মুঠোফোনে অবহিত করে। খবর পেয়ে মিজান তার ভাইয়ের ঘরে ছুটে যান। সেখানে অস্ত্রধারী ডাকাত দল মিজানকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। মিজানের চিৎকার শুনে জুনায়েদ এগিয়ে এলে ডাকাত দল তাকেও ছুরিকাঘাতে আহত করে। ওই সময় অন্য ডাকাতেরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন এসে এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দেন। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গণপিটুনির শিকার ডাকাত ঘটনাস্থলে মারা যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা নয় এটি চুরির ঘটনা। চুরি করতে গিয়ে এক চোর গণপিটুনিতে মারা যায়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে নোয়াখালী-ফেনীসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন