নোয়াখালীর বন্যা কবলিতদের পাশে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

নোয়াখালী জেলার বন্যার্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে তারা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন এবং কার্যক্রম চালাতে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

বুধবার (২১ আগষ্ট) সারাদিন নোয়াখালীর আশে পাশে বন্যাকবলিত মানুষদের কাছে প্রয়োজনীয় খাবার ও সহায়তা নিয়ে হাজির হন শিক্ষার্থীরা।আজ বৃহস্পতিবারও সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ইতিমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজস্ব তহবিল গঠন করে বন্যার্তদের ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বন্যার্তদের পাশে নোবিপ্রবি’ নামে একটি গ্রুপের মাধ্যমে টাকা তোলার কাজ চলমান আছে। এটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সংগঠনের দায়িত্বশীলরা। তারা অনলাইন, অফলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল (২১ আগস্ট) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ১২ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বন্যার্তদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য ক্যাম্পাসে সহযোগিতা ডেক্স বসানো হবে বলে জানান দায়িত্বশীলরা

জানা যায়,সংগৃহীত অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় খাবার, জরুরি ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ খাদ্যসামগ্রী কিনে ফেনী এবং নোয়াখালী বানভাসি মানুষের হাতে তুলে দিবেন।

নিজ উদ্যোগে ইতিমধ্যে বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানো নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাখাওয়াত বলেন, এ দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে আমি ও আমার বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষীরা বানভাসীদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি।আসলে নিজ চোখে না দেখলে বন্যার্তদের কষ্ট বোঝা মুশকিল। সবাই সবার জায়গা থেকে কাজ করে গেলে ইনশাআল্লাহ মানুষগুলোর জন্য ভালো কিছু হবে।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী রাকিব রহমান বলেন, ‘ফেনী, নোয়াখালীর চলমান বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। অসংখ্য মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতেই শিক্ষার্থীরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।’

রাকিব আরোও বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি কাজের তথ্য ‘বন্যার্তদের পাশে নোবিপ্রবি’ গ্রুপে দেওয়া হবে। যারা অনফিল্ডে কাজ করতে ইচ্ছুক কখন কি করা হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। বন্যায় নোয়াখালী, ফেনী এবং কুমিল্লাসহ অন্যান্য এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সবাই এগিয়ে না আসলে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে। তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি’।