নোয়াখালীতে গণধর্ষণের মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার আরো ২
স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের বাগ্যা গ্রামে গৃহবধূকে (৩২) ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনার মূল হুকুমদাতা রুহুল আমিন মেম্বার ও মামলার ৫নং আসামি বেচুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ নিয়ে ওই ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিসহ এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বুধবার দিবাগত গভীর রাতে নোয়াখালী সদর ও সেনবাগ উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রুহুল আমিন মেম্বার সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বেচু ব্যাগা গ্রামের আবু কাশেমের ছেলে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, রাতে পুলিশের দুটি দল জেলার সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিন মেম্বার এবং সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারে ৫ নম্বরের আসামি বেচুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. ওমর ফারুক বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার যদি অপরাধী হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমরা দ্রুত সাংগঠনিক মিটিংয়ে বসে ও দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ী, যদি তার অপরাধ প্রমাণ হয় তাহলে, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
উল্লেখ্য, ভোট কেন্দ্রে বাক-বিতণ্ডার জের ধরে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভিকটিমের ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী সহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচুসহ ১০ জন। এ সময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিনকে মারধর ও ৪ সন্তানকে বেঁধে রেখে তাকে (ভিকটিম) উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করে।
পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারকে আসামি করা হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন