নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় কোচিং শিক্ষক সহ গ্রেপ্তার-৩
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার সাবেক কোচিং শিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক আলামতে রনির শরীর থেকে ভুক্তভোগীর নখের কিছু আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০) ও কোচিং শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে (২০) গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রনি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে নখের আঁচড় রয়েছে।
সেইসাথে ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ মামলায় ইসরাফিল ও সাঈদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, রনির কোচিং থেকে কিছুদিন আগে পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট শুরু করে অদিতা। এতে ক্ষিপ্ত হয় রনি, তারপরও অদিতাদের বাসায় বিভিন্ন সময় আসা যাওয়া করতো সে।
ধারণা করা হচ্ছে, অদিতার মা ঘরে না থাকার সুযোগ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে কোনো একসময় বাসায় গিয়ে অদিতাকে ধর্ষণ ও গলা কেটে হত্যা করা হয় এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরে আলমারিতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অদিতার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিলো। ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষনিক তিনজনকে আটক করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন