নোয়াখালী জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে স্কুল ছাত্রীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা

এইচ.এম আয়াত উল্যা, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ শরীফপুরের রজব উদ্দিন ছেরাং বাড়ীর সাহাব উদ্দিন, জোৎস্না আক্তার, রহিমা বেগম তিন ভাই-বোনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে সন্ধ্যায় সোনাপুর স্কুলে নবম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রী নাজমা আক্তারকে তার নিজ ঘরে বটি দিয়ে গলায় পোচ দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়,জোৎস্নাকে লক্ষীপুরে বিয়ে দেয়ার পর মেঘনার নদীগর্ভে তার বাড়ী বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে সে বাপের বাড়ী শরীফপুরে ৪ মেয়ে ১ ছেলে নিয়ে বসবাস করে আসছে। তার বোন রহিমা কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ, ভাই সাহাব উদ্দিন সিলেটে আদম ব্যবসা করে। হঠাৎ রহিমা এবং সাহাব উদ্দিন বাড়ীতে এসে জোৎস্নার সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে রহিমাকে জোৎস্না এবং তার মেয়েরা বেদম মারধর করে। এসময় জোৎস্না বটি দিয়ে আম কাটতেছিল। এক পর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে জোৎস্নার মেয়ে নাজমা (১৭) কে মাটিতে শুইয়ে বটি দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করলে পাশে থাকা তার বোন নাসরিন এবং মা জোৎসা ও পার্শ্ববর্তী চাচাত বোন ফেরদৌসীসহ তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে এসে বেগমগঞ্জ ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রসূল জানান, ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই টেলিফোনে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করি এবং পরিবারের সবাইর সাথে আলাপ করি, আহত স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যাই। তারা বলে লক্ষীপুরে নদীগর্ভে বসত বাড়ী বিলীন হওয়ার পর থেকে জোৎসা বাপের বাড়ীতে বসবাস করে। বর্তমানে তার ভাই সাহাব উদ্দিন ও বোন রহিমা তাকে উচ্ছেদ করার জন্য বার বার তার পরিবারের উপর আক্রমণ করে বলে জানায়। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।