নো ম্যান্স ল্যান্ড থেকে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা
মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ড থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসছে রোহিঙ্গারা। গত কয়েক দিন ধরে জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের মাইকিং করে, রাতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে আতঙ্কিত হয়ে হামলার আশঙ্কায় রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশের কুতুপালং ও বালুখালি ক্যাম্পে চলে আসছে।
তবে সীমান্তে বিজিবির কড়া পাহারা থাকায় রাতের আধারে লুকিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা।
বিজিবির সতর্ক পাহারার ভেতরেও লুকিয়ে গত দুইদিনে অন্তত ৩০০ রোহিঙ্গা নো ম্যান্স ল্যান্ড ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
তুমব্রু জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মো. ইউসুফ জানান, দিনের বেলা ১০ মিনিট পর পর জিরো লাইন থেকে রোহিঙ্গাদের সরে যেতে মাইকে ঘোষণা দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বান্দরবানের তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গা।
তিনি জানান, মিয়ানমার যেকোনো সময় হামলা করবে এই ভয়ে অনেক রোহিঙ্গা রাতের আধারে জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়েছে। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা উখিয়ার বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু যারা এখনো নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছেন তারা খুবই আতঙ্কে দিন পার করছেন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীদের প্রস্তুতি দেখে আরো একটি রোহিঙ্গা নির্যাতনের আশঙ্কার কথা জানান মো. ইউসুফ। তিনি বলেন, আমরা এখন এদিকে-সেদিকে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। কারণ মিয়ানমার বাহিনীর আচরণ সন্দেহজনক। তারা যেকোনো কিছু করতে পারে আমাদের সাথে। তারা আমাদের সাথে গোপন বৈঠকের কথাও বলেছিল কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া আমরা কোনো বৈঠকে বসবো না জানিয়েছি।
আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, জিরো পয়েন্ট থেকে গত ১২ দিনে বরই (কুল) পাড়তে যাওয়ায় ২৪ রোহিঙ্গা শিশুকে আটক করে মিয়ানমার সেনারা। তার মধ্যে ১৫ বছর বয়সী এ রকম ৬ রোহিঙ্গাকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি শিশুদের মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি।
সীমান্তের বিভিন্ন পাহাড়ে মিয়ানমার সেনাদের প্রায় আটটি পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। তারা অস্ত্র তাক করে বাংলাদেশের দিকে ধরে আছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন