নৌপথ আরো আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দখল ও দূষণরোধে সরকার কাজ করছে। বাংলার মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে; এটা আমাদের প্রথম সাফল্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের কথা বলেছেন; নির্বাচনি মেনিফেস্টোতে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। নৌপথ আরো আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিআইডব্লিউটিএ’র উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও বিভাগীয় প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত (চলমান) ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধারকৃত তীরভূমি/জায়গার পরিমাণ ৩৮৯ দশমিক ৬২ একর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, নওয়াপাড়া, ঘোড়াশাল ও টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বৈঠকে আরো জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আগস্ট পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে দৃশ্যমান হয়েছে এবং আরো ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আমিন বাজার, পাগলাবাজার পূর্ব প্রান্ত, পাগলাবাজার পশ্চিম প্রান্ত, মুন্সিখোলা, সিন্নিরটেক ও গাবতলীতে ছয়টি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আলীগঞ্জ আফছার উদ্দিন ঘাট, আলীগঞ্জ মাদ্রাসা ঘাট, সুলতানা কামাল ব্রিজ সংলগ্ন, মাছুয়া বাজার ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লেবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট, নারায়ণগঞ্জ সাইলো পয়েন্ট, শিমরাইল ২ ও ৩ নম্বর ঘাট এবং সারুলিয়া লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টে আরো আটটি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে এবং গাবতলীর বড়বাজার ও নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আরো দু’টি ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় নির্মিত ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হবে। একই সাথে টঙ্গী নদীবন্দর হতে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে।
সভায় চাঁদপুর নদীবন্দরের আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আবর্জনা মুক্ত করার লক্ষ্যে ছয়টি রিভার ক্লিনিক ভেসেল সংগ্রহ, কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরি সার্ভিস চালু, দু’টি বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, ড্রেজার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন