নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহারে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস শুরু

সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাসে ৪৫ ঘণ্টা কর্মবিরতির পর নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে রবিবার সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালকের সাথে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়েনের নেতাদের বৈঠক শেষে শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন হয়।

এদিকে শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর রবিবার সকাল থেকে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা মাদার ভেসেল থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করে জনায়, ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর রবিবার সকাল থেকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানের অবস্থানরত ১৩টি মাদার ভেসেল থেকে সার, কয়লা, ক্লিংকার ও পাথর খালাস শুরু হয়েছে। মোংলা বন্দরে ফের কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসছে।

সার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্লোরি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক মাহমুদুল ইসলাম ইমন বলেন, নৌযান শ্রমিকদের ৪৫ ঘণ্টা কর্মবিরতির ফলে বিপুল পরিমাণ মোংলা বন্দরে পণ্য আটকা পড়ে। এতে তাদের প্রতিষ্ঠানেরই কয়েক লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার রাতে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়ায় রবিবার সকাল থেকে আমরা আবার মাদার ভেসেল থেকে সার খালাস শুরু করেছি।

এর আগে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় চার দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে সারা দেশের নৌযান শ্রমিকরা অনিদৃষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করে। এতে দেশের বিভিন্ন সমুদ্র বন্দরের মাদার ভেসেল থেকে পণ্য ওঠানামাসহ অভ্যন্তরীণ নৌরুটও পরন্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।