নড়াইলে অর্থ বরাদ্দের চার বছর পর প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়ের কাজ শুরু
নড়াইলে চার বছর আগে অনুমোদন পেয়েছে। অর্থও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। একনেক সভায় অনুমোদনের পর খুলনা, বরিশাল, বগুরা, ন্ওগা জেলায় নির্মাণ কাজ শুরু হলেও জমি অধিগ্রহণ না হ্ওয়ায় নড়াইল প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি।
২০১৫-১৬ অর্থ বছরে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নড়াইলে স্থাপিত মহাবিদ্যালয়ের নামকরণ করেন প্রকৌশলী খান হাতেম আলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এত দিনে নির্মাণ কাজ শুরু না হ্ওয়ায় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নড়াইল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে একনেকে এ কলেজ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজটির নাম দেন প্রকৌশলী খান হাতেম আলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, জমি অধিগ্রহণে ২৬৫ কোটি টাকা, শ্রেণিকক্ষ, অফিস কক্ষ, আসবাবপত্র, হোস্টেল, ফার্নিচার, ডেকোরেশন, ল্যাবরেটরি, গাড়ী ইত্যাদি খাতে ১ কোটি টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে এখানে বহুতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবন, ৫০০ আসন বিশিষ্ট ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল, একাধিক ল্যাবরেটরি, মসজিদ, অধ্যক্ষ এবং স্টাফ কোয়াটার, অভ্যন্তরীণ সড়ক, সীমানা প্রাচীর ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে এখানে ৪টি বিভাগ সিভিল, ম্যাকানিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কলেজটি চালু হবে।
নড়াইল শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মো.আশরাফুল হক জানান, কলেজটি নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন নড়াইল-কালনা সড়কের মালিবাগ এলাকার সীমাখালি-বোড়াবাদুড়িয়া মৌজায় ৮ একর জমি নির্ধারণ করেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে কলেজ নির্মাণে বিরোধিতা করলে নির্মাণ কাজ পিছিয়ে যায়। ভালো জায়গা না পা্ওয়ায় এখানেই কলেজ নির্মাণ কাজের সিদ্ধান্ত হয়। জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী নড়াইল পৌর সভার বরাশুলা গ্রামের বাসিন্দা হাতেম আলী খানের নামে এই কলেজটির নামকরণ করা হচ্ছে।
হাতেম আলী খানের দুই ছেলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ, সিপিবির পলিটব্যুরোর সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হায়দার আকবর খান রনো এবং বাংলাদেশ কিউবা মৈত্রী সমিতির সহ-সভাপতি, গণ সংস্কৃতি কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মরহুম হায়দার আনোয়ার খান জুনো।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, প্রথম অবস্থায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা ছিল। এখন সে সমস্যা নেই। জমির মালিকদের ৭ ধারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামি এক মাসের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় কলেজটির জমি অধিগ্রহণ কাজ হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন