চলতি মৌসুমে
নড়াইলে বোরো ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা
নড়াইলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী ধান। যেদিকে তাকাই সেদিকেই বোরো ধানের সবুজ ও সোনালী ধানের শীষের সমারোহ চোখে পড়ে।
চলতি বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। এ মৌসুমের আগাম রোপণকৃত জমির পাকা ধান কাটাও শুরু করেছেন অনেকে, তবে পুরোদমে ধানকাটা শুরু হতে এখনও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। জেলায় এ বছর লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
নড়াইল কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় গত মওসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে বোরো চাষাবাদ বেড়েছে। জেলার তিন উপজেলায় ৪৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে, কালিয়া উপজেলায় ১৬হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১০হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমিতে ২ লাখ ১২ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা ব্যক্ত করছেন। প্রণোদনার আওতায় কৃষকেরা বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে।মানভেদে বর্তমানে প্রতিমণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। ধানের দাম ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকেরা। ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের বাঁভিটা গ্রামের কৃষক সমীর বলেন, আমার দু’টি স্যালো মেশিনে প্রায় ৫ একর জমি বোরো চাষাবাদের আওতায় এসেছে। এসব জমিতে ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের শামিম মোল্যা বলেন, তিনি এক একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে সামনের সপ্তাহে ধান কাটা শুরু করবেন। আশা করছেন ভালো দাম পাবেন।
লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, বিলে আগাম রোপণকৃত জমির পাকা ধান কাটা ইতোমধ্যে শুরু করেছেন তারা। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। আবাহাওয় অনুকুলে থাকায় ধানের আবাদ যেমন ভালো, দামও বেশ ভালো পাবো বলেও জানান তিনি।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় এ বছর বোরো ধানের আশানুরুপ আবাদ হয়েছে। কৃষকরা সময় মতো বীজ, সারসহ অন্যান্য উপকরণ ঠিক মতো পাওয়ায় ধান চাষে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। এ ছাড়া বোরো চাষের জন্য প্রণোদনার আওতায় নয় হাজার কৃষক হাইব্রিড এবং ছয় হাজার কৃষক উফশী জাতের বীজ ও সার বিনামূল্যে পেয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন