যশোরের শার্শায়
পঙ্গু স্বামী আর অভাবে চোখের জলে শুকায় না সুফিয়ার
৬৫ বছরের সুফিয়া বেগম। চোখের জল যার একমাত্র সম্বল। স্বামী আজগার আলীর বয়স ৮৫’র মত। দশ বছর ধরে তিনি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। কথা বলতে পারেন না। ভুলভাল বকেন সারাদিন।
যশোরের শার্শা উপজেলার ২ নম্বর লক্ষনপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মাদ্রাসার সামনে রাস্তার ধারে তাদের ছোট্ট কুঁড়ে ঘর। ৩ শতক মাত্র ভিটে বাড়ী। এর মধ্য স্বামীর চিকিৎসা খরচে ১ শতক বিক্রি করেছেন ইতোমধ্যে। বাকী ২ শতকে মাথা গুজে আছেন এখন। ছেলে শরিফুল আগে থেকেই আলাদা হয়ে গেছেন। তারও দিন চলে না। বড় মেয়ে পাপিয়া গত বছর শবে বরাতের দিন দু’টি সন্তান রেখে মারা গেছেন। ছোট মেয়ে শিথিলা থাকেন শশুর বাড়ী। ফলে কার্যত সুফিয়াদের এখন দেখার কেউ নেই।
সারাদিন চোখের জল ফেলে আর খেদমত করে পঙ্গু স্বামীর। ঘরের ভেতর পেশাব (প্রশ্রাব) পায়খানা করেন তার স্বামী। সে চলতে ফিরতেও পারে না। অগত্যা নিজের হাতে পরিস্কার করতে হয় স্ত্রী সুফিয়াকেই।
দিনভর স্বামীর সেবা আর ফাঁক বুঝে খাবার জোগাড় করা সুফিয়ার নিত্য দিনের কাজ। পয়সার অভাবে অসুধের কথা যেনো তারা ভুলেই গেছে। দু’মুঠো খাবার জোটে না, তাতে আবার অসুধ?
ঔষুধপত্র ফিঁকে গেছে, পেটপুরে খাবার জোগারই স্বপ্ন সুফিয়ার। নানান দৈন্যদশা আর অভাব অনাটনে এই বয়সেও সারাদিন ভিজে থাকে সুফিয়া বেগমের দু’চোখ।
সুফিয়ার ব্যাথায় ব্যাথিত হয়ে কেউ পাশে দাঁড়াতে চাইলে নিচের বিকাশ নম্বারে কথা বলে আর্থিক অনুদান পাঠাতে পারেন। (bkash: 01716- 888162)। আমাদের কারো সামান্য অনুদান সুফিয়া ও তার স্বামীকে একটু ভালো রাখতে পারে, হয়তো বড় ধরনের বিপদ থেকে আমাদের পরিবারকেও বাঁচাতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন