পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পুরোনো ইট দিয়ে বাজার সেড নির্মাণ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় পুরোনো ইট দিয়ে বাজারের ওপেন সেড ও টিন সেডের গাঁথুনির কাজ করা হয়েছে। গত মাসের ২৯ তারিখ সোমবার ও চলতি মাসের ১৩ তারিখ সোমবার উপজেলার ভজনপুর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে ও জানতে পারা যায় গরুর মাংস বিক্রির পুরোনো সেডটির খুলে ফেলা ইট পরিষ্কার করে ওপেন সেড ও মাংস বিক্রির সেডে কাজে লাগানো হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে। তবে কলামে পুরোনো রডের সঙ্গে ল্যাপিং দিয়ে নতুন রড জোড়া দেওয়া হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, রংপুর ডিভিশন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট অব প্রজেক্ট (আরএডিএআরডিপি) অর্থায়নে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উপজেলার শিলাইকুঠি ও ভজনপুর বাজার উন্নয়ন লক্ষ্যে ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৯ টাকা নির্ধারিত সিডিউলে ওপেন ও টিন সেড এবং সেডে বাজারকারীদের জন্য চলাচলের রাস্তা নির্মাণ কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এই প্রজেক্টটি মেসার্স শেখ ট্রেডার্স নামে কাগজে কলমে থাকলে নির্মাণাধীন কাজ প্রকল্প ক্রয়কৃত কয়েকহাত ব্যক্তিদের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এদিকে প্রকল্পের ভজনপুর বাজারের কাজটি ক্রয় করে নির্মাণ কাজ করছেন ভজনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মসলিম উদ্দিন। আরোও জানা যায়, চুক্তিতে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে গত সালের ২০ জুন এবং প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল চলতি সালের ২২ মার্চ। অথচ নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রকল্প কাজ চলছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায, যেখানে ১নং ইট ব্যবহার করার কথা সেখানে পুরোনো ইট কাজে লাগানো হচ্ছে এবং বেইজ ঢালাইয়ে ৩/৪ ভাঙা পাথরের কথা থাকলে নরমাল পাথর দিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ।
ভজনপুরে নির্ধারিত বাজারের দিন বাজারকারী ও স্থানীয়রা জানান, ‘এই বাজারের কাজটির চেয়ে শিলাইকুঠি বাজারের কাজটি অনেকগুণ ভালো হয়েছে।

আপনারা কিভাবে বুঝতে পারলেন এমন প্রশ্নে তাঁরা(বাজারকারীরা) বলেন, কিছু চোখের আন্দাজে বুঝা যায় কোন জিনিসটি ভালো আর কোনটি খারাপ। পরে শিলাইকুঠি বাজারে গিয়ে দেখা যায় কাজ ভালো হয়েছে তবে যতটুকু রাস্তা হওয়ার কথা তার চেয়ে কম রয়েছে।

সেডের কাজ চলমানে চেয়ারম্যানের মনোনিত করিম নামে ব্যক্তি জানান, পুরোনো টিন ও এঙ্গেল চেয়ারম্যানের হাওলায় রয়েছে। চেয়ারম্যান মসলিম উদ্দিন বলেন, পুরোনো সেডের টিন ও এঙ্গেল রয়েছে। তবে কথায় রাখা হয়েছে তা জানতে পারা যায়নি। পুরোনো ইট নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জিজ্ঞাসায় কোনো সদুত্তর মিলেনি তবে দেখা করার কথা জানানো হয়েছে।’

উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলামিন মুঠোফোনে বলেন, ‘পুরোনো ইট কাজে লাগাতে পারবেনা, বিষয়টি দেখতে চেয়েছেন। পুরোনো সেডের টিন ও এঙ্গেল মজুদ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পঞ্চগড় এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ও পুরোনো ইটের ছবি দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘পুরোনো ইট ও নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করলে তা আমরা গ্রহণ করবোনা, আমার উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে সেখানে পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’