পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নাম্বার বিহীন গাছের নিলাম বিজ্ঞপ্তি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় নাম্বার বিহীন গাছ নিলাম বিক্রয়ের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের আড়িয়াখুড়ি নামক এলাকায় দুপুর পৌনে ২টায় সরেজমিনে গেলে আড়িয়াখুড়ি পুকুর পাড়ের একটি গাছের গায়েও নাম্বার দেখা যায়নি।

জানা যায়, ৬নং ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের মালিকাধীন/নিয়ন্ত্রণাধীন জমিতে(আড়িয়াখুড়ি পুকুর পাড়) রোপনকৃত পরিপক্ক, ঝুকিপূর্ণ ও মরা ইউক্যালিপ্টাস গাছ কর্তনপূর্বক বিক্রয়ের জন্য প্রাপ্ত প্রস্তাব, বন/বিট কর্মকর্তা তেঁতুলিয়া কর্তৃক দাখিলকৃত মূল্য নির্ধারণী প্রতিবেদন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গত ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে স্থাসবি/ইপ/বিবিধ-০৫/২০০৪/১২৬৩(৫০৫০) নং স্বারকে জারিকৃত পরিপত্রের আলোকে এবং গত সালের ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই নিলাম বিক্রয়ের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি।

পৃথক সংখ্যা ও সরকারি দর উল্লেখ করে ১০০টি ইউক্যালিপ্টাস গাছের ৩লাখ ৬হাজার ২৪১ টাকা ৬০ পয়সা মূল্য নিধারণ করা হয়। দরপত্র সিডিউল বিক্রয়ের তারিখ ও সময় দেয়া হয় ১৬ থেকে ২২ জানুয়ারি এবং দরপত্র দাখিল ও বাক্স খোলার সময় ও তারিখ দেওয়া হয় ২৩ জানুয়ারি দুপুর ২টা ও বিকাল ৩টা।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গাছ গুলো প্রায় ১ থেকে দেড় বছর আগে ক্রমিক নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কতগুলো গাছে নাম্বারের চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল এমন প্রশ্নে ভিডিও ধারণের সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক নারী বলেন, কয়টি গাছে নাম্বারের চিহ্ন আছে আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।

উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কাজিম উদ্দিন বলেন, নাম্বার ফেলানো অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় চামড়া গজিয়ে নাম্বারগুলো মিশে গেছেন। কতগুলো গাছে নাম্বার ফেলানো হয়েছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন ১০০টি গাছ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে রাব্বি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ আসায় দরপত্র নিলামটি স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।