পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ইউপি সচিব হারুন অর রশিদ কারাগারে

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিব হারুন অর রশিদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার পর তেঁতুলিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধ্যাঞ্জলি অর্পন করার পর তাকে আটক করা হয়। এরপর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন পুলিশ।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে শ্রদ্ধ্যাঞ্জলি অর্পন করার পর মিনারের পিছনে আড়ালে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন হারুন অর রশিদ। এ সময় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধ্যাঞ্জলি দিতে আসা জনতার তোপের মুখে পড়েন তিনি। জানা যায়, তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক।
বর্তমানে তিনি উপজেলার ৩নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের দায়িত্বে কর্মরত আছেন। আরও জানা যায়, তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকীর বদলে তিনি ও গ্রাম পুলিশ মিলে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধ্যাঞ্জলি দিতে আসেন। শ্রদ্ধ্যাঞ্জলি অর্পন করার পর মিনারের পিছনে আড়ালে গিয়ে কথা বলতে দেখেন শ্রদ্ধ্যাঞ্জলি অর্পন করতে আসা জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে ধরিয়ে থানায় দেয়।
এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এনায়েত কবির জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধ্যাঞ্জলি অর্পনের সময় ইউপি সচিব মিনারের পিছনে আড়ালে কথা বললে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা তাকে ধরিয়ে থানায় দেয়।
ওই প্রেক্ষাপটে পুলিশ তাকে যদি হেফাজতে না নেয় আইন শৃঙ্খলা অবনতির সম্ভাবনা ছিল এজন্য তাকে কার্যবিধি ১০০ ও ১৫১ ধারায় হেফাজতে নিয়ে মামলার ভিত্তিতে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বিকে মুঠোফোনে কল করলে কলটি রিসিভ না হওয়ায় কথা বলার সুযোগ হয়নি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন