পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও দুই সন্তানের জননী

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় দুই শিশু ছেলে সন্তানের জননী রুপসানা(২৫) পরকীয়া প্রেমিক সাইদুর রহমানের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী মো. হোসেন আলী বাদী হয়ে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের হারাদিঘী গ্রামে ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে অভিযোগকারী ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের খুনিয়াগছ গ্রামে মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. সাইদুর রহমান (৩০) প্রায় সময় অভিযোগকারীর অনুপস্থিতে বাড়িতে এসে তার (হোসন আলী) স্ত্রীকে অশ্লীল কথা-বার্তা ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরপর তার(হোসন আলী) স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভনে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে যায় সাইদুর রহমান।
পালিয়ে যাওয়ার সাত দিন পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পূনরায় তার(হোসন আলী) সংসার করতে থাকে পালিয়া যাওয়া ওই গৃহবধূ। এরপর শবে বরাতের কথা বলে বাপের বাড়িতে গিয়ে আবারো তার (হোসন আলী) স্ত্রী সাইদুর রহমানের সহিত ৫০ হাজার টাকা ও ১০ আনা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রেমিক সাইদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই গৃহবধূর মাথার সমস্যা আছে। তিনি বলেন, তার স্ত্রী আছে দুই সন্তান রয়েছে এসব কাজে তিনি জড়িত নয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত এশার নামাযের সময় ওই গৃহবধূকে পরিষদে না পেয়ে তার চাচার বাড়িতে গেলে গৃহবধূর দাদা ও বাবা বলেন, আমরা ওই মেয়েকে গ্রহন করবো না। সে যার সঙ্গে পালিয়ে গেছে তার সঙ্গেই ঘর সংসার করবে। আমরা তাকে(পালিয়ে যাওয়া ওই গৃহবধূকে) নিয়ে আসবো না।
ওই গৃহবধুর স্বামী হোসেন আলী বলেন, আমার ৫ ও ৬ বছরের দুইটি ছেলে সন্তান রেখে আমার দেওয়া ৫০ হাজার টাকা, ১০ আনা স্বর্ণলংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের কাছে চলে যান। তাই আমি তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
তিনি আরও বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরে রাতারাতি আমার অনুপস্থিতিতে মেয়ের বাবা বিষয়টি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়েছেন। যেহেতু আমার বউ পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে এই বউ আমি গ্রহন করবো না। অন্যদিকে তার বউকে গ্রহন করার জন্য বিভিন্ন মহল চাপ প্রয়োগ করছেন বলে তিনি জানান।
জানা যায়, ওই গৃহবধু পরকীয়া প্রেমিকের বাড়ীতে গেলে তাকে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদে হেফাজতে রাখা হয়। পরে ওই দিনই রাতে ওই গৃহবধূর পরিবারকে নিয়ে বিষয়টি রফাদফা করা হয়।
এ বিষয়ে ভজনপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ওই গৃহবধূকে তার বাপের বাড়িতে পৌছে দেয়া হলে পরে ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা হয়।
এদিকে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তারিফ হোসেন প্রধানকে গৃহবধূর চাচার বাড়িতে দেখা মিললে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে বসার জন্য ভজনপুর পরিষদে যাইতে বলছে, দেখি পরিষদে গিয়ে কি করা যায়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মুসা বলেন, ওই গৃহবধূ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার স্বামী লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন