পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে কুলি শ্রমিকদের মানববন্ধন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের বিরুদ্ধে কুলি শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে কুলি শ্রমিক ও ইউনিয়ন বাসীর আয়োজনে পরিষদের সামনে প গড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। অন্যায়ভাবে মানুষের জমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দখল করেছেন। অনেককে চাকরি দেয়ার নামে ও মানুষের জমি আরেকজনকে দখল করে দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে।

১৫ বছরের আওয়ামী দু:শাসনের মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের দোকানপাট ভেঙে দিয়েছেন। তিনি কথা বলতে দিতেন না। ৫ আগষ্টের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর চেয়ারম্যান পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ৩০ দিন থেকে তিনি পরিষদে আসেন না। তিনি কয়েকটি ফৌজদারী মামলার আসামি। তারপরেও জামিনে মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে মাদক মামলাসহ নানা ধরনের মামলা দিয়ে মানুষজনকে হয়রানি করতো।

অনেকে তার রোষানলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, কুলিদের থেকে মিলন চেয়ারম্যান প্রায় ২লাখ ৮০ হাজার টাকা দিনে হাতিয়ে নেয়। তাঁরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবী জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে। ইতোপূর্বে কুলিশ্রমিক ও সাধারন জনগণ মানববন্ধন করেও কোনো ফলাফল পাননি এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ডিসি, এসপি ও ইউএনও কে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি জানিয়েছেন তারা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, আমি কখনো কারো জমি দখল করেছি, এমন কোনো প্রমাণ নেই। আমি কুলিশ্রমিকের কেউ না। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব তান্ডব চালাচ্ছে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।