পঞ্চগড়ে আবারও ভারতের পুশইন

পঞ্চগড় সদর উপজেলার পৃথক দুই সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আবারও ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোররাতে হাড়িভাষা ইউনিয়নের বড়বাড়ী ও চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম পুলিশ পুশইন করা নয়জনকে দেখতে পেয়ে আটক করে এবং বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানায়। একইভাবে স্থানীয়দের মাধ্যমে অন্যদের পুশইনের তথ্য পেয়ে বিজিবির সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরে বড়বাড়ী ও খুনিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে আরও ১৭ জনকে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

আটকদের মধ্যে নয় নারী, আট পুরুষ ও নয়জন শিশু রয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আটককৃতরা দীর্ঘ ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি ২৮ মে ভারতের সিআইডি পুলিশ তাদের আটক করে কলকাতায় নিয়ে যায় এবং পরে উড়োজাহাজে করে বাগডোগরায় এনে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাদের পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ঘটনার পর আমরা বিএসএফের সঙ্গে কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করেছি। আটকদের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ভিত্তিতে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও বিজিবির তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, রতœীবাড়ী বিওপি থেকে ১৭ জন এবং ঘাগড়া বিওপি থেকে নয়জনসহ মোট ২৬ জনকে আমাদের কাছে নিয়ে এসেছে বিজিবি। আমরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আপাতত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি, তারা প্রকৃত বাংলাদেশি কিনা তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ২১ মে ভোরে একইভাবে ভারত থেকে আরও ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছিল।