পঞ্চগড়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পঞ্চগড়ে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের স্থানীয় সরকার বিভাগ গ্রাম আদালত বিষয়ক চার দিন ব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুুষ্ঠিত হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার (৭ মার্চ) সকালে পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ এর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সীমা শারমিন, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩ পর্যায়) প্রকল্পের পঞ্চগড় জেলা ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোছা. রুবি আক্তার, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রোগ্রাম এন্ড ফাইন্যান্স এ্যাসিসটেন্ট মো. মিজানুর রহমান, জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩ পর্যায়) প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী দেবন্দ্রণাথ টপ্য প্রমূখ।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলীর সভাপতিত্বে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থাপক বা আলোচক বা বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী, ডিডিএলজি (ভারপ্রাপ্ত) সীমা শারমিন, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩ পর্যায়) প্রকল্পের পঞ্চগড় জেলা ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোছা. রুবি আক্তার, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার লিমেন্ট রায়, পঞ্চগড় সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস.এম শফিকুর রহমান, পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মকছুদুল কবীর, পঞ্চগড় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান।
জানা যায়, এই প্রশিক্ষণে কোর্স পরিচালক হিসেবে রয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী এবং কোর্স সমস্বয়কারী হিসেবে আছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সীমা শারমিন এবং অংশগ্রহনকারী হিসেবে রয়েছেন জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরও জানা যায়, জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত হিসাব সহকারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৪ দিন ব্যাপী এই আবাসিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মশালা প্রশিক্ষণ টানা তিন দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং চতুর্থ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।
প্রশিক্ষণ উদ্বোধনীর সময় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে বিদ্যমান গ্রাম আদালতে গ্রামীণ জনপদের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অপরাধ নিরসন কল্পে হিসাব সহকারীগন দক্ষ ও সুযোগ্য কর্মচারী হিসেবে গড়ে উঠবে। এছাড়া গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অতিদ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ইউনিয়ন পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম আদালতে সঠিক বিচার না পেয়ে সাধারণ মানুষ উচ্চ আদালতের দারস্ত হচ্ছে। এতে করে দিনে দিনে মামলা জট বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, উচ্চ আদালতে বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও পরিষদ থেকে জানতে পেরে উপকৃত হবেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন