পঞ্চগড়ে জনপ্রিয় বাংলা হোটেলের অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার জনপ্রিয় বাংলা হোটেলকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের কয়েকটি আইডিতে খাবারের অতিরিক্ত বিল নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে হোটেলের মালিক। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের হোটেলের দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হোটেল মালিক আজিজুল হক জানান, কর দাবি, গত শুক্রবার বিকেলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মোজাহের ভাই আমাদের হোটেলে খেতে এসেছেন বলে একজন ম্যানেজার টেবিলে এসে জানান, ভিআইপি মেহমান এসেছে, ভিআইপি আপ্যায়নে হোটেলে যত উন্নত খাবার আছে তা যেন পরিবেশন করে দেওয়া হয়।

সে অনুযায়ী কন্টেন ক্রিয়েটর মোজাহের ভাইয়ের সাথে আসা ১৭জনকে আপ্যায়ন করা হয়। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হয়। কিন্তু খাবারের পর বিল দিতে এসে আপত্তি উঠে তাদের। ১৭ জনের খাবার বিল ৮হাজার টাকা বিল হওয়ায় তর্কবিতর্ক করতে থাকেন তাঁরা। কিভাবে এতো টাকা বিল এসেছে তা জানতে না চেয়ে অনুমতি ছাড়া গোপনে তাঁরা ভিডিও ধারণ করে।

হোটেল মালিক বলেন, আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তাঁরা অকথ্য ভাষায় কথা বলতে থাকেন। বিলের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁরা তা না জেনে গোপনে ভিডিও ধারণ করে এক হাজার টাকা বিল কম দিয়ে চলে যান। পরের দিন বিকেলে জানতে পারি তাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে প্রচারনা চালান।

হোটেল মালিক আরও বলেন, তাদের আপত্তি ছিল একটি মুরগী নিয়ে। আমাদের স্টাফ তাদের একজন মুরগীর মাংস চেয়ে অর্ডার দিলেও সেটি খাননি, এমনকি বিষয়টি না জানানোর কারণে ভুলের কারণে বিলটি ধরা হয়েছিল। তারা যদি মুরগীর মাংসটি ফেরত দিতেন তাহলে সেই মূল্যটি বিলে ধরা হতো না।

এরপরেও আমরা তাদের সম্মানে বিল থেকে এক হাজার টাকা কম নিয়েছি। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে আমরা নিষ্ঠা, সততার সাথে হোটেল ব্যবসা করে আসছি এ ধরণের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। এদিকে আমাদের হোটেলের সেবা ও খাবার মান সন্তুষ্টি জনক হওয়ায় প্রচুর পর্যটকরা ফেসবুকে ও ইউটিউবে প্রচার করেছেন।

তাই এ ধরণের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানোয় আমরা হতবাক হয়েছি। তাই এর তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের আহবান ফেসবুকে ভিউ ব্যবসা করেন, কিন্তু অপপ্রচার ঘটিয়ে নয়। এ কারণে হয়তো বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি, কিন্তু যারা আমাদের বাংলা হোটেলের খাবারের মান, সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে জানেন, তারা আসছেন। তাদের অনেকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদও করতে দেখেছি।

এ বিষয়ে জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে লাতিফুর ভাই ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মোজাহের ভাই নামীয় আইডির সঙ্গে যোগযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো মাধ্যমের সুযোগ হয়নি। তবে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর চেয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ও ইমেইলে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।