ভজনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস
পঞ্চগড়ে তদন্ত আদেশের কপি ফাইলে ফেলে রেখে তদন্ত করেননি ইদ্রিস আলী
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) কর্তৃক তদন্ত আদেশের এক মাস হলেও তদন্ত আদেশ কপি ফাইলে ফেলে রেখে তদন্ত করেননি ভজনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী। রোববার (১২ জানুয়ারি) ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে এই ঘটনাটির তথ্য জানা যায়।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৪ অক্টোবর উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভজনপুর গ্রামের মৃত জয়নুল হকের ছেলে হাসিবুল ইসলাম জমাজমি ও রাস্তার গাছ কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। গত বছরের ওই মাসের ২৯ তারিখ পত্র প্রাপ্তি নম্বর ১৪৫০ এন্ট্রি করা হয়।
এরপর ১ মাস ১২ দিন অভিযোগ পত্রটি ফাইলে ফেলে রাখা হয়। পরে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর প্রাক্তন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল হাসান ভজনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইদ্রিস আলীকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক বিধিমতে জরুরীভিত্তিতে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিলে তদন্ত করা হয়নি।
উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আবু সোয়েব বলেন, জমাজমি ও রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশনা পত্রটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। আপনি (সাংবাদিক সাহেব) ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খোঁজ নিতে পারেন।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে অফিস সহায়ক রিয়াজুল ইসলামের কাছ থেকে জানা যায়, তিনি উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে তদন্ত করার নির্দেশনা পত্রটি রিসিভ করে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইদ্রিস আলীর টেবিলে দেন।
উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান রফিকুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, এক মাসের বেশি হল তহশীল অফিসে আমার নিজের হাতেই দিয়েছি। সম্ভবত এক মাসের বেশি হবে গত মাসে দেওয়া হয়েছে আমার কাছে রিসিভ কপি আছে। কতদিন হলো অফিসে দেওয়ার পুনরায় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তহশিল অফিসে পৌঁছায় দিয়েছি, সেটি আমি বলতে পারবো না, কতদিন হলো দেখতে হবে, না দেখে বলা যাবেনা।
অভিযোগকারী হাসিবুল ইসলাম বলেন, তিনি কোনো তদন্তের নোটিশ পাননি। প্রায় তিন মাস হয়ে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত দরখাস্তটির ফলাফল পাচ্ছেন না। তদন্তের আদেশ ইউপি ভূমি অফিসে আসলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। এটি তহশিলদারের গাফিলতি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ভজনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী মুঠোফোনে বলেন, আমি এখন বলতে পারবো না আমি এখন তিরনইতে আছি। আপনি এ বিষয়ে জানেন কিনা জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, ‘আমি এত কিছু বলতে পারবো না, আমার অনেক কপি পত্র আছে না আছে কিছু বলতে পারবো না। এটা আসছে কিনা এটাও আমি বলতে পারবো না, আমার এখানে আসছে কিন তাও আমি বলতে পারবো না।’ এমনটি বলে কোনো রকম কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে কথা বলা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হলাম। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন