পঞ্চগড়ে হঠাৎ বৃষ্টি আলু চাষীদের মাথায় হাত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে আগাম আলু, চাষিদের মাথায় হাত। চাষিরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে যারা আলুর বীজ রোপণ করেছিল তারা বেশ ক্ষতির আশংঙ্খায় রয়েছে। এদিকে টানা বৃষ্টিতে শীতের আগমন আগেভাগেই অনুভূত হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রণাথ রায় বলেন, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয় ১৫৬ মিলিমিটার।

তিনি বলেন, কোথাও মাঝারী আবার কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চগড়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমবে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং বাতাসে আর্দ্রতার কারণে সকালবেলা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গজুড়ে শীতের প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

টানা বৃষ্টিতে চারপাশে ভেজা ভাব ও ঠান্ডা বাতাস বইছে। এতে শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

কথা হয় উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের আলুচাষি শহর আলীর সাথে। তিনি বলেন, প্রতিবছর আলুর মৌসুমে অধিক লাভ পাবার আশায় আমরা এ এলাকার আলুচাষিরা আগাম জাতের আলুর বীজ লাগাই। গত বুধবার সকালে ৩০ শতক জমিতে বারি আলু-২৯ জাতের (আঞ্চলিক কারেজ) বীজ লাগিয়েছি। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে আলু পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

আইল কেটে পানি সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলেন তিনি। পাশে থাকা ওই একই গ্রামের মফিজুল হক বলেন, তিনিও ৫০ শতক জমিতে সপ্তাহ খানিক হলেন ওই একই জাতের আলু লাগিয়েছেন। এমন বৃষ্টি টানা বৃষ্টিতে তাদের অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবে জানিয়েছেন। তাদের মতো যেসব আলু চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সকলকেই যেন সরকার ক্ষতিপূরণ দেয় এমন দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জীবন ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ রয়েছে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা সংগ্রহ করে অফিসে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তথ্যের তালিকা জমা দেওয়া হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট সেই তালিকা প্রেরণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ আলু চাষীদের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সিদ্ধান্ত নিবেন এমনটি জানিয়েছেন তিনি।

তবে ধানের আবাদ আমনের বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস বেশ তৎপর বলে জানা গেছে।