পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গলায় ফাঁস লাগানো নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় আছমিনা বেগম (৪২) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (২ এপ্রিল ২০২২) সাড়ে ১২টায় উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের টিনের চাপড়া ঘরের নিজ শয়ন কক্ষের বাঁশের সড়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারী উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের গ্রাম পুলিশ মফিজুল হকের স্ত্রী।
স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, গরীব হালে তাদের পরিবার অত্যান্ত সুখের ছিল। গ্রাম পুলিশ মফিজুলের পরিবারে এই দিনে কোন ঝগড় বিপাদ করা হয়নি। তাহলে কেন এই আত্মহত্যা হল এমন প্রশ্নে কোন উত্তর মেলেনি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গ্রাম পুলিশ মফিজুল তার দায়িত্ব পালনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বাড়িতে রেখে যাওয়া তার ছেলে ও ছেলের বউ করোনা টিকা নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে তাদের কিছুটা পথ এগিয়ে দেন গ্রাম পুলিশের স্ত্রী ফাঁস লাগানো আছমিনা বেগম। জানা যায়, প্রতিবেশী এক মহিলা আছমিনার বাড়িতে তাঁর কাছে পান সুপাড়ি চাইতে এলে পশ্চিম ঘরের শয়ন কক্ষে আছমিনা বেগমকে কয়েকবার ডাক দিলে তিনি কোন সারা না পাওয়ায় কাছে গিয়ে দেখতে পান আছমিনার গলায় ফাঁস লাগানো। পরে ওই প্রতিবেশীর চিৎকারে আরো লোকজন জড়ো হয়ে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেনকে খবর দেন। পরবর্তীতে তিনি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন।
এব্যাপারে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন